একাকিত্ব বনাম মোবাইল সংস্কৃতি: আধুনিক জীবনের সংকট

‘মোবাইল সংস্কৃতি’ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উত্থানের এই যুগে মানুষের আত্মদর্শনের, নিজের সঙ্গে একাকী হওয়ার বর্তমান ধারাটি কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা জানা থাকা দরকার। কারণ, মোবাইল সংস্কৃতি নতুন ধরনের ভ্রম তৈরি করছে। সমাজবিচ্ছিন্ন নির্বান্ধব নাগরিকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবোধ কাটাতে চাইছে। এই প্রবণতা শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত।
কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষকে যতটা যুক্ত করছে, তার চেয়ে বেশি বিচ্ছিন্ন করছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও বিষয়টি সত্যি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মুহূর্তে মুহূর্তে যোগাযোগ একটা পর্যায়ে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিকাশ থামিয়ে দেয়। কারণ, ব্যক্তিগত সম্পর্ক যেমনই হোক, মানুষ তো বটেই প্রাণীমাত্রই সম্পর্ক থেকে আড়াল খোঁজে।
তাই ব্যক্তিগত পরিসরের মতো সামাজিক পরিসরেও আড়াল দরকার। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নানা ফিচার দিয়ে এমন করে তৈরি করা, যা সব অসম্ভব সম্ভব করতে চায়, সবাইকে সারাক্ষণ মোহমুগ্ধ করে ধরে রাখতে চায়। এই মোহ ও আসক্তি থেকে মুক্তির চেষ্টাকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল ডিটক্স বা বিষমুক্ত হওয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী টাইমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাধারণ নাগরিক যতক্ষণ জেগে থাকেন তার প্রায় অর্ধেকটা কাটান স্ক্রিনে চোখ রেখে। তা হতে পারে স্মার্টফোন, ট্যাবলয়েড বা কম্পিউটার।
সোর্স: জুম বাংলা