বাংলাদেশ

রাজধানী তেহরান থেকে স্থানান্তরের কারণ জানালেন ইরানের মুখপাত্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে স্থানান্তর করে উপকূলীয় মাক্রান অঞ্চলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। গত ৭ জানুয়ারি ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জনসংখ্যা ও পানি-বিদ্যুতের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যদিও রাজধানী স্থানান্তরের এ সিদ্ধান্ত সমালোচনার মুখে পড়েছে। মাক্রানে রাজধানী স্থানান্তর করা হলে ইরান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দিয়ে লাভবান হবে বলে জানিয়েছেন ইরানের মুখপাত্র। এরইমধ্যে স্থানান্তরের কাজ চালু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ইরানের সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের রাজধানী তেহরানে পরিবেশগত চাপ, জনসংখ্যা, পানি ও বিদ্যুৎ সংকট প্রদেশটির নিত্যদিনের সঙ্গী। তাই রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ইরান সরকার। দেশটির নতুন রাজধানী হবে উপকূলীয় মাক্রান অঞ্চলে। সমুদ্র বন্দরভিত্তিক রাজধানী হলে, ইরান পাবে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সুফল।

ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, ‘মাক্রানে অবশ্যই আমাদের নতুন রাজধানী হবে। এতে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ ঘটবে। এরইমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ, অভিজাত ব্যক্তিবর্গ, বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী, সমাজবিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদদের সহযোগিতা চেয়েছি।’

এ সিদ্ধান্তের পক্ষে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের যুক্তি দিয়ে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের ক্ষেত্রেও ঝুঁকিপূর্ণ তেহরান। আয়-ব্যয়েও ভারসাম্য নেই। পারস্য উপসাগরের কাছে রাজধানী স্থানান্তরের বিষয়ে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছেন তিনি।

প্রায় তিন দশক আগে শুরু হয় ইরানের রাজধানী স্থানান্তরের আলোচনা। পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে ২০১০ সালেও এ বিষয়ে আলোচনা উঠেছিল বলে জানান ইরান সরকারের মুখপাত্র।

মোহাজেরানি আরও বলেন, ‘আমাদের রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নতুন নয়। তিন দশক ধরে এই আলোচনা চলছে। তেহরান প্রদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়েছে। প্রদেশটি প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। এখানে পানিরও তীব্র সংকট। এসব কারণেই আমরা রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাবি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে জাতীয় কবিতা উৎসব শুরু

সিস্তান ও বালুচেস্তান প্রদেশে অবস্থিত মাক্রান অঞ্চল ওমান উপসাগরের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে ইরানের জন্য কৌশলগত সুবিধা দিবে। এই অঞ্চলটি ইরানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও সামুদ্রিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোর্স: জুম বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button