পোল্ট্রি ডিম যখন পাথরের প্রধান পণ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেশার ওষুধ নয়। কানাডা থেকে আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটার চোরাচালান হয়, তা হল ডিম! কানাডার সংবাদমাধ্যম ‘দ্য লজিক’ সরকারি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত অক্টোবর মাস থেকে কানাডা-আমেরিকা সীমান্তে ডিম চোরাপাচারের চেষ্টা ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সম্ভাব্য কারণ হিসাবে ‘বার্ড ফ্লু’-কেই দায়ী করা হচ্ছে। গত বছরের শেষ দিক থেকেই আমেরিকা, কানাডা-সহ উত্তর আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে আতঙ্ক বৃদ্ধি করেছে বার্ড ফ্লু। ফলে ডিম, মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বেড়েছে এগুলির দামও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পরিস্থিতিকে ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ বলে অভিহিত করেছেন এবং এর দায় চাপিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপর।
ডিম এবং মাংস সঙ্কটের মধ্যেও কানাডার পরিস্থিতি তুলনায় ভাল। কানাডার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশি দাম পাওয়ার আশায় চোরাচালানকারীরা কানাডা থেকে সীমান্ত পেরিয়ে আমেরিকায় ডিম পৌঁছোনোর চেষ্টা করছেন। মেক্সিকো সীমান্ত দিয়েও ডিমের চোরাচালান চলছে বলে জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
‘বিএনপি আইনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, সন্ত্রাসের না’: ড. মঈন খান
কানাডার উপর ট্রাম্পের শুল্ক চাপানোর নেপথ্যে অন্যতম বড় কারণ ছিল ফেন্টানাইল। এই মাদকটি ব্যথার উপশমের ক্ষেত্রে মরফিনের তুলনায় বহু গুণ শক্তিশালী। ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, কানাডা হয়ে এই মাদক আমেরিকায় প্রবেশ করছে। প্রতিবেদনে উল্লিখিত পরিসংখ্যান যদিও বলছে, অক্টোবর মাস থেকে আমেরিকার শুল্ক আধিকারিকেরা যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে ৩,৭৬৮টি মাংস এবং ডিম জাতীয় দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্য দিকে, ওই একই সময়ে ৩৫২টি বিতর্কিত নেশার ওষুধ ফেন্টানাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সোর্স: জুম বাংলা