বাংলাদেশ

রাষ্ট্রপতির সেকেন্ড হোম বা বিদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে যা বলল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম বা দুবাইতে বিনিয়োগ নিয়ে বাংলা আউটলুকের প্রতিবেদন ও জুলকারনাইন সায়েরের দেওয়া তথ্য প্রমাণ যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করবে না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এর সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কাজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের না। এটি রাষ্ট্রপতির বিষয় এবং খুব স্পর্শকাতর। এটি যথাযথ কর্তৃপক্ষ দেখুক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি যুক্ত হয়, সেটি শেষ পর্যায়ে গিয়ে হবে।

রাষ্ট্রপতি মালয়েশিয়ার নাগরিক কিনা সেটি জানতে চাইবেন নাকি-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অনুমানের ভিত্তিতে আমি আমার দূতাবাসের কাছে কোনো কিছু জানতে চাইবো না।

উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার বাংলা আউটলুকে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম, দুবাইয়ে ব্যবসা ও রেসিডেন্সি শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমে বিনিয়োগ এবং দুবাইয়ে ব্যবসা ও রেসিডেন্সি রয়েছে। এছাড়া তিনি তৃতীয় একটি দেশের পাসপোর্টে বিনিয়োগ করেছেন বলেও কথিত রয়েছে।

রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমে ১৫০,০০০ রিংগিত বিনিয়োগ এবং দুবাইয়ের কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত ও ওয়ারাদ জেনারেল ট্রেডিং এলএলসি নামের দুবাইয়ে নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়িক বিনিয়োগের বিনিময়ে রেসিডেন্স ভিসা পাওয়ার প্রমাণ স্বরূপ বিভিন্ন কাগজপত্র বাংলা আউটলুকের হাতে এসেছে।

যদিও এসব বিনিয়োগ তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে করেছেন। তবে প্রশ্ন উঠছে, রাষ্ট্রপতি বিদেশে এসব বিনিয়োগের জন্য কোনো অনুমতি কি আদৌ গ্রহণ করেছেন? বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ব্যতীত মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমে চুপ্পুর ১৫০,০০০ রিংগিত ও দুবাইয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ কি বৈধ? তিনি যদি আনুগত্য মেনে অর্থের বিনিময়ে তৃতীয় একটি দেশের পাসপোর্টও গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে কি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বহাল থাকা তার পক্ষে সম্ভব হবে?

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে কখনোই এত বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button