বাংলাদেশের যত বিদ্যুৎ প্রয়োজন সব দিতে আগ্রহী নেপাল। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে জাতিসংঘের এক বৈঠকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি এই আগ্রহ পোষণ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের যত বিদ্যুৎ প্রয়োজন সব আমরা দেব। আপনারা শুধু ট্রান্সমিশনের ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও সেই বৈঠকে সার্ককে পুনর্জীবিত করা নিয়েও আলোচনা হয়।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ তথ্য জানান।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির মধ্যে বৈঠক হয়। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশের সাইডলাইনে এই বৈঠক হয়।
দুই নেতার মধ্যে বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে জ্বালানি, বাণিজ্য ও দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে জোর দেন ড. ইউনূস।
অধ্যাপক ইউনূস দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, নেপাল বিপুল পরিমাণ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সমৃদ্ধ।
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। আশা করা হচ্ছে আগামী মাসের মধ্যে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির ব্যাপারে কাঠমান্ডুর সঙ্গে ঢাকার চুক্তি সই হবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নেপাল থেকে আরও বেশি বিদ্যুৎ রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলেও জানান দেশটির কর্মকর্তারা।
বৈঠকে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পরিবহন উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খান এবং সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।