আফগানিস্তান সিরিজে সাকিবের খেলা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালো বিসিবি
দরজায় কড়া নাড়ছে আফগানিস্তান সিরিজ,সাউথ আফ্রিকা সিরিজ শেষেই টাইগারদের তড়িঘরি করে দুবাইয়ের পথে উড়াল দেওয়া লাগবে।তবে ৬ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া আফগানিস্তান সিরিজকে ছাপিয়ে আলোচনায় টাইগার ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান।আফগানিস্তান সিরিজে সাকিব দলে থাকবে কিনা এ নিয়ে হচ্ছে তুমুল আলোচনা।তবে বেসরকারি এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ লিপু জানান, “সাকিবকে প্রথম টেস্টের দলে রাখা হয়েছিল বোর্ডের চাওয়ায়।
কিন্তু কেন খেলেননি, তা সবারই জানা। আফগানিস্তান সিরিজে তাঁর খেলা পুরোপুরি বোর্ড সভাপতির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। ফিজিওর কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিবেদন পেয়েছি, সাকিব সম্পূর্ণ ফিট। তবে দল ঘোষণার আগে তাঁর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এলে আবারও ফিজিওর প্রতিবেদন নেব।”
সাকিব ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে চান আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে। তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণও যে সহজ নয় তা গেলো কিছুদিনের নানা ঘটনায় পরিষ্কার।
সাকিব আল হাসান ভারতে টেস্ট চলাকালীন সময় এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেট থেকে নিজের অবসরের কথা জানিয়েছিলেন।যেখানে তিনি জানান গেলো টি-২০ বিশ্বকাপে তার ক্যারিয়ারের সবশেষ টি-২০ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন,এরপর খুব করে চেয়েছিলেন সাউথআফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে মিরপুরের মাটি থেকে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে।বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবিও সাকিবকে বিদায় দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।কিন্তু বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনে তোপের মুখে পরে শেষমেশ বিসিবি ও সাকিবকে পিছু হটতে হয়।ভেস্তে যায় সাকিবের শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলতে ঢাকায় ফেরার কথা ছিল সাকিবের। যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনাও হয়েছিলেন ঠিকই। দুবাইয়ে ট্রানজিটে আসার পর জানতে পারেন,দেশের মানুষ তাকে সাদরে গ্রহণ করবে না,তাকে নিয়ে হচ্ছে নানান আন্দোলন।তাই দেশে ফেরার কথা থাকলেও নিরাপত্তা শঙ্কায় দুবাই থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার।
এর আগে সাকিব আল হাসানকে নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল বিসিবি।এরপর থেকেই স্টেডিয়ামের সামনে আন্দোলনে মুখর থাকে ছাত্র জনতা।তাদের দাবি একটাই সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ থেকে সাকিবকে বাদ দিতে হবে।পরবর্তীতে সাকিবকে বাদ দিয়ে স্কোয়াডে ডাকা হয় অভিষেক না হওয়া হাসান মুরাদকে।