শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কে কত পেলেন?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, তিনি ২৩০টি ইলেক্টরাল ভোট পেয়েছেন। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ১৭৯টি ভোট। সাধারণ ভোটের দিক থেকেও ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৪,৬৮৭,৫২১। অর্থাৎ ভোটদাতাদের ভোটের ৫২.০৫ ভাগ ভোট তিনি পেয়েছেন। আর কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ৪৯,০০৫,১৮৪ ভোট বা ৪৬.৬৪ শতাংশ ভোট।
জনসংখ্যার দিক থেকে বড় কয়েকটি রাজ্য থেকে ফলাফল পাওয়া গেছে। তবে এখনো কোন অপ্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ যেসব রাজ্যে যার জয়ের কথা ছিল, তারা সেখানে জয়ী হয়েছেন।
রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে টেক্সাস, ওহাইও, নর্থ ডাকোটা, সাউথ ডাকোটা, লুইজিয়ানা এবং ওয়াইওমিং-এ জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি রাজ্য এবং ডিসট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়ায় মোট ৫৩৮ ইলেক্টরাল ভোট আছে এবং যে প্রার্থী ২৭০টি পাবেন তিনি নির্বাচিত বলে গণ্য হবেন।
তবে গত এক বছরের জনমত জরিপ এবং অতীত নির্বাচনের আলোকে ৪৩টি রাজ্যের ফলাফল কী হবে তা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে আছে।
সাতটি রাজ্যে- জর্জিয়া, উইস্কন্সিন, মিশিগান, পেন্সিলভানিয়া, অ্যারিজনা, নেভাদা আর নর্থ ক্যারলাইনায় কে জিতবে, তা নিশ্চিত না। এই রাজ্যেগুলোকে ‘সুইং স্টেট’ বলা হয় এবং সেখানে মোট ৯৩টি ইলেক্টরাল ভোট আছে। অর্থাৎ, নির্বাচনে জয়ের জন্য এক প্রার্থীকে এই সাতটি সুইং স্টেটের অন্তত চারটিতে জয়লাভ করতে হবে।
ভোটাররা কংগ্রেসের ভাগ্যও নির্ধারণ করছেন
মঙ্গলবারের ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের দুই কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ইউ এস কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েও লড়াই হচ্ছে। নির্বাচনে যিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, ডেমোক্র্যাট ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস বা রিপাবলিকান প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, তার আইন প্রণয়ন কর্মসূচির সাফল্যর জন্য কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।
গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ভোটাররা সংসদের নিম্ন কক্ষ তথা হাউস অফ রেপ্রেজেন্টেটিভসের ৪৩৫ আসনে প্রতিনিধিদের দু’বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত করবে। আর সিনেটের ১০০ আসনের ৩৪টিতে সিনেটররা ছয় বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবেন।
ডেমোক্র্যাটরা বর্তমানে সিনেটের এবং রিপাবলিকানরা হাউসের নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দুটি কক্ষরই হাত বদল হয়ে যেতে পারে, অথবা একই রয়ে যেতে পারে। সে যেটাই হোক, দু’কক্ষে রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণ খুব অল্প আসনের ব্যবধানে থাকার সম্ভাবনা বেশি।
সূত্র : ভিওএ এবং অন্যান্য
সোর্স: দৈনিক দিগন্ত