৪ রাজ্যের ফলাফলে কে এগিয়ে?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল আসতে শুরু করছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো রাজ্য-ভিত্তিক ফলাফল ঘোষণা করছে।
প্রথম চারটি রাজ্যের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, ইন্ডিয়ানা এবং কেন্টাকিতে জয়লাভ করে ২৩টি ইলেক্টরাল ভোট পেয়েছেন।
অন্য দিকে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ভেরমন্ট রাজ্যে জয়লাভ করে তিনটি ইলেক্টরাল ভোট পেয়েছেন।
পঞ্চাশটি রাজ্য এবং ডিসট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়ায় মোট ৫৩ ৮ ইলেক্টরাল ভোট আছে এবং যে প্রার্থী ২৭০টি পাবেন তিনি নির্বাচিত বলে গণ্য হবেন।
তবে গত এক বছরের জনমত জরিপ এবং অতীত নির্বাচনের আলোকে ৪৩টি রাজ্যের ফলাফল কী হবে তা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে আছে।
সাতটি রাজ্যে- জর্জিয়া, উইস্কন্সিন, মিশিগান, পেন্সিলভানিয়া, অ্যারিজনা, নেভাদা আর নর্থ ক্যারলাইনায় কে জিতবে, তা নিশ্চিত না। এই রাজ্যেগুলোকে ‘সুইং স্টেট’ বলা হয় এবং সেখানে মোট ৯৩টি ইলেক্টরাল ভোট আছে।
অর্থাৎ, নির্বাচনে জয়ের জন্য এক প্রার্থীকে এই সাতটি সুইং স্টেটের অন্তত চারটিতে জয়লাভ করতে হবে।
ভোটাররা কংগ্রেসের ভাগ্যও নির্ধারণ করছেন
মঙ্গলবারের ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের দুই কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ইউ এস কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েও লড়াই হচ্ছে। নির্বাচনে যিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, ডেমোক্র্যাট ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস বা রিপাবলিকান প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, তার আইন প্রণয়ন কর্মসূচির সাফল্যর জন্য কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।
গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ভোটাররা সংসদের নিম্ন কক্ষ তথা হাউস অফ রেপ্রেজেন্টেটিভসের ৪৩৫ আসনে প্রতিনিধিদের দু’বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত করবে। আর সিনেটের ১০০ আসনের ৩৪টিতে সিনেটররা ছয় বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবেন।
ডেমোক্র্যাটরা বর্তমানে সিনেটের এবং রিপাবলিকানরা হাউসের নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দুটি কক্ষরই হাত বদল হয়ে যেতে পারে, অথবা একই রয়ে যেতে পারে। সে যেটাই হোক, দু’কক্ষে রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণ খুব অল্প আসনের ব্যবধানে থাকার সম্ভাবনা বেশি।
সূত্র : ভিওএ এবং অন্যান্য
সোর্স: দৈনিক দিগন্ত