বাংলাদেশ

ট্রাম্পের ‘ইসরায়েলপন্থী’ ভাইস প্রেসিডেন্ট কে এই জেডি ভ্যান্স

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর অনেকটা নাটকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তার। প্রায় সব সুইং স্টেটে তিনি জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনের এই যাত্রায় তার গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ছিলেন ৪০ বছর বয়সী সিনেটর জেডি ভ্যান্স। তিনি দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও রাজ্যের সিনেটর জেডি ভ্যান্সকে অনেক বিশ্লেষক ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্তরাধিকারী হিসেবে দেখেন। ২০২৮ সালের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে সামনে আসতে পারে তার নাম।

হাইস্কুলের পর জেডি ভ্যান্স ইউনাইটেড স্টেটস মেরিন কর্পসে যোগদান করেন। তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সামরিক সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেন। এছাড়া বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নানা মতামত লিখতেন।

তিনি ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট’ হিসাবে প্রযুক্তি শিল্পে ক্যারিয়ার শুরু করেন। এর আগে কর্পোরেট আইনজীবী হিসাবে সংক্ষিপ্তভাবে অনুশীলন করেছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন

ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি ও আইভি লিগ ল স্কুলের স্নাতক জেডি ভ্যান্স মার্কিন ভোটারদের মধ্যে রক্ষণশীল রাজনীতির জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত।

জেডি ভ্যান্স কয়েক বছর আগে ইসরায়েলপন্থী ধনকুবের পিটার থিয়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। মূলত তখন থেকেই তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার প্রস্ফুটিত হতে শুরু করে।

ইসরায়েলপন্থী ধনকুবের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার পর থেকেই রাজনৈতিক ক্যারিয়ার প্রস্ফুটিত হতে শুরু করে জেডি ভ্যান্সের। ছবি: সংগৃহীত

সিআইএ সমর্থিত অ্যানালিটিক্স ফার্ম প্যালানটিয়ার টেকনোলজিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা থিয়েল। ওই প্রতিষ্ঠান গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ইসরায়েলপন্থী থিয়েল জেডি ভ্যান্সের সিনেট প্রচারণায় ১৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করেছিলেন। ভ্যান্স কৌশলগতভাবে ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বৈদেশিক নীতি প্রচার করেন।

তার রাজনৈতিক অবস্থানের মধ্যে রয়েছে গর্ভপাত, সমকামী বিবাহ, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ এবং ইউক্রেনে আমেরিকান সামরিক সহায়তার বিরোধিতা। ভ্যান্স ‘সন্তানহীন জীবনের’ একজন স্পষ্টবাদী সমালোচক। তিনি সামাজিক অবস্থানের উপর ক্যাথলিক ধর্মতত্ত্বের প্রভাব স্বীকার করেছেন।

সোর্স: দৈনিক দিগন্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button