বাংলাদেশ

আ.লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য নেই : ফয়জুল করীম

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ আন্দোলন করেছে চিহ্নিত একটি রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এদেশের শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করছে। তারা এদেশের মানুষের আবেগের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে নওগাঁয় শহরের এটিম মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নওগাঁ জেলা শাখার গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ফয়জুল করিম আরও বলেন, ‘এদেশের মানুষ আন্দোলন করে জীবন দিয়েছে। আর উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে বিদেশি চাটুকারদের। যারা ইসলাম ও দেশের দুষমন। দেশের সাধারণ মানুষ এসব মেনে নেবে না।’

ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির বলেন, ‘১৯৭১ সালের পর থেকে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। শাসন, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন এবং লুটতরাজের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছিল। তারা দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরবর্জন দেখেছেন। অবশেষে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এদেশের মানুষ আবার দেশ স্বাধীন করেছে।’

ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির আরও বলেন, ‘কেবলমাত্র দল ও নেতা পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশের শান্তি আসতে পারে না। যতদিন পর্যন্ত ন্যায়, নীতির পরিবর্তন আসবে না, ততদিন পর্যন্ত দেশের মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা এবং আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এদেশে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হয়েছে মুসলমানরা। ইসলামী শাসন কায়েম হলে দেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার সুযোগ পাবেন।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মাওলানা আব্দুর রহমান, নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শহিদুল আলম, সিনিয়র সহসভাপতি মোশারফ হোসেন সিরাজী, সিনিয়র সদস্য জামাল উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক হোসেন, জেলা সদস্য মাওলানা ওমর আলীসহ অন্যরা।

সোর্স: দৈনিক দিগন্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button