বাংলাদেশ

লালশাকের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের দেহের সুস্থতা বজায় রাখতে উপকারী লাল শাক রূপে যেমন মনোহরী, গুণেও তেমন কার্যকরী। এই লালশাকে এমন কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে যা ৩০ বছর বয়স এর পর থেকে শরীরের ভাঙন আটকানোর পাশাপাশি একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ছোট বড় সবারই প্রিয় এই শাক। এই শাক খেলে কী হয়, এর গুণাগুণ কী, তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক লাল শাকের পুষ্টিগুণ

প্রতি ১০০ গ্রাম লাল শাকে আছে ক্যালসিয়াম ৩৭৪ মিলিগ্রাম, শর্করা ৪.৯৬ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ৫.৩৪ মিলিগ্রাম, স্নেহ ০.১৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি১- ০.১০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২- ০.১৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৪২.৯০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ১১.৯৪ মিলিগ্রাম, অন্যান্য খনিজ ১.০৬ মিলিগ্রাম, খাদ্য শক্তি ৪৩ কিলোক্যালরি।

উপকারিতা
লালশাক ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
ভিটামিন সি-এর অভাবজনিত রোগ স্কার্ভি প্রতিরোধ করে।
লালশাকের আঁশজাতীয় অংশ খাবার পরিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
লালশাকে রয়েছে প্রচুর আয়রন। লালশাক শরীরে লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা বাড়ায়।
তাই অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য এ শাক খুবই উপকারী।

নিয়মিত লালশাক খেলে কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
শরীরের টক্সিক উপাদান দূর করে এবং ক্যানসার কোষ উৎপন্ন হতে দেয় না।
লালশাকে থাকা ভিটামিন সি এবং কে দেহের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে। ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
মস্তিষ্ক ও হৃদপিণ্ডকে শক্তিশালী করে।

লালশাকের বিটা ক্যারোটিন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
শরীরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমে গিয়ে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়। সেগুলো প্রতিরোধ করে লালশাক।

রাষ্ট্র গঠনের দ্বিতীয় সুযোগ যেন নষ্ট না হয় : আইন উপদেষ্টা

দেহের রক্তশূন্যতা রোধ করতে লাল শাক খুব উপকারী, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।
দাঁতের সুস্থতা, হাঁড় গঠন, গর্ভবতী মায়েদের দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে এই শাক উপকারী।

সোর্স: জুম বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button