বাংলাদেশ

ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়

ইউরিক অ্যাসিড কিডনির ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। এতে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিছু খাবার কিন্তু এই ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, আবার কিছু খাবার তা কমায়। কিছু রোগ শুধুমাত্র ওষুধ নয়, স্বাস্থ্যকর জীবনধারার মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির সমস্যাও এর মধ্যে একটি। জীবনযাত্রায় কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন করেও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমানো যায়।

অত্যধিক প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। অধিকাংশ চিকিৎসকের মতে, যাঁরা বেশি পরিমাণে মাছ-মাংস খেয়ে থাকেন, তাঁদের ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার ঝুঁকি বেশি। অত্যধিক মদ্যপানও ইউরিক অ্যাসিডের কারণ হতে পারে। আর ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই গিঁটের ব্যথা অনিবার্য।

ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে কফি, কোল্ড ড্রিংকস বা অ্যালকোহল সেবন একেবারেই নিষেধ। এমনকি করা যাবে না ধূমপানও। পালংশাক, পুঁইশাক, ফুলকপি, মিষ্টিকুমড়া, ঢ্যাঁড়স, টমেটো জাতীয় সবজি না খাওয়াই ভালো। পাশাপাশি, অতিরিক্ত প্রোটিন যেমন- খাসির মাংস, সামুদ্রিক মাছ এড়িয়ে চলুন। বিভিন্ন রকম ডাল খাওয়াও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য ভালো নয়।

ওজন বেশি থাকলেও এই রোগের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই সঠিক ডায়েটের পাশাপাশি শরীরচর্চা করাও জরুরি। তবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি বেড়ে গেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। সে ক্ষেত্রে ওষুধের ওপর নির্ভর করতেই হবে।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে অব্যর্থ টোটকা অ্যাপল সাইডার ভিনেগার। ১ চা চামচ ভিনেগার নিন, এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে অন্তত ২-৩ বার পান করুন নিয়মিত। উপকার পাবেন। অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে ভুলবেন না। পানি কিন্তু ইউরিক অ্যাসিডকে ইউরিনের মাধ্যমে বের করে। এবং রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে বারবার প্রস্রাব পাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। কারণ কিডনি চায় শরীরে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে বার করে দিতে। তবে বারবার প্রস্রাব ছাড়াও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডে মাত্রা বেড়ে গেলে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরোতে পারে রক্ত। এছাড়া, হতে পারে ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন।

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়লে প্রস্রাবের সময় অনেকেরই জ্বালা করে। এই জ্বালা এতটা বেশি হয় যে প্রস্রাব করা হয়ে ওঠে কষ্টসাধ্য। এর থেকে কিডনিতে পাথরও হতে পারে। তাই আপনার সঙ্গেও এমনটা ঘটলে এক বার অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সোর্স: জুম বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button