ডিবির হারুনসহ ১৮৭ পুলিশ কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিল করছে সরকার
পুলিশের পলাতক ও চাকরিচ্যুত ১৮৭ জন কর্মকর্তার অফিসিয়াল পাসপোর্ট বাতিল করছে সরকার। এরই মধ্যে পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এসব পুলিশ কর্মকর্তার নাম ও তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিচ্ছে পাসপোর্ট অধিদফতর। এই চিঠি পুলিশ সদর দফতর থেকে নাম ও পরিচয়পত্র সংযুক্তসহ অধিদফতরে এলেই তা কার্যকর হবে।
ইমিগ্রশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পাসপোর্ট বাতিলের তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্যতম- ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর রশিদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম।
পুলিশের পলাতক কর্মকর্তাদের তালিকায় শীর্ষে আছেন ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। এই তালিকায় তাকে ১ নম্বরে রাখা হয়েছে। তবে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
পাসপোর্ট অধিদফতর জানায়, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর এসব গা-ঢাকা দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তা যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, এ কারণে তাদের পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে পলাতক কর্মকর্তাদের নাম ও পরিচয়পত্র চাওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশের পলাতক কর্মকর্তাদের তালিকায় শীর্ষে আছেন ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। এই তালিকায় তাকে ১ নম্বরে রাখা হয়েছে। তবে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এই কর্মকর্তা জালিয়াতির মাধ্যমে তার অফিসিয়াল পাসপোর্ট ছেড়ে সাধারণ পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন। তার এই পাসপোর্টও বাতিল হয়ে যাবে।
পলাতক পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বিতীয় সারিতে আছেন ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। ৫ আগস্টের পর তাকেও আর পাওয়া যায়নি। কথিত রয়েছে, এই কর্মকর্তাও ভারতে পালিয়ে গেছেন।
তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্যতম- ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম।
এছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন- অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, খন্দকার নুরুন্নবী, এস এম মেহেদী হাসান, সঞ্জিত কুমার রায়, উত্তম কুমার পাল, এসপি আবু মারুফ হোসেন, শাহ নুর আলম পাটোয়ারী, র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশানুল হক সৈকত, এএসপি মফিজুর রহমান পলাশ, এএসপি আরিফুজ্জামান, এএসপি আল ইমরান হোসেন, এএসপি ইফতেখার মাহমুদ। চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বহুল আলোচিত আরেক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান।
এছাড়া এএসপি রানা ৫ আগস্টের আগেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। তিনি ২ আগস্ট চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। রংপুর ডিআইজি কার্যালয় থেকে সেটি পুলিশ সদর দফতর হয়ে ২৮ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয়।
পলাতক পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বিতীয় সারিতে আছেন ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। ৫ আগস্টের পর তাকেও আর পাওয়া যায়নি। কথিত রয়েছে, এই কর্মকর্তাও ভারতে পালিয়ে গেছেন।
পলাতক ১৮৭ জনের তালিকায় আছেন ৫ জন পরিদর্শক, ১৪ জন এসআই, ৯ জন এএসআই, ৭ জন নায়েক এবং ১৩২ জন কনস্টেবল রয়েছেন। এই কনস্টেবলদের মধ্যে দুজন নারী সদস্যও আছেন।
পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, যেসব কর্মকর্তা পালিয়ে আছেন তাদের গ্রেফতারে সারাদেশে পুলিশের টিম কাজ করছে। যেকোনো মূল্যে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আর যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তাদের ব্যাপারে আমাদের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য নেই। অনেকে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে দেশেই আত্মগোপনে আছেন। তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।