বাংলাদেশ

২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ যেখানে পাওয়া যাবে জেনে নিন

অতিরিক্ত গরম আর বৈরী আবহাওয়া নষ্ট হয়ে গেছে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ। এসব পেঁয়াজ আড়তের গুদামের মেঝেতে ঢেলে ফ্যান দিয়ে শুকানো হচ্ছে আর শ্রমিক দিয়ে চলছে বাছাই কাজ। আর এসব পেঁয়াজ স্বল্পমূল্যে বিক্রি হচ্ছে আড়তে। রোববার (২৭ অক্টোবর) সরেজমিন ঘুরে হিলি বাজারে পেঁয়াজের এ চিত্র দেখা গেছে।

এতগুলো পেঁয়াজ আড়তে কেন ঢেলে রেখেছেন- জানতে চাইলে আড়তদার আব্দুস সালাম জানান, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ মূলত বিক্রি হয়ে থাকে স্থলবন্দর থেকে। তবে পেঁয়াজের গুণগতমান খারাপ হওয়ায় পেঁয়াজগুলো নেয়া হয়েছে আড়ত ঘরে। সেখানে মেঝেতে ঢেলে শুকানো হচ্ছে ফ্যান দিয়ে। এরপরে শ্রমিক দিয়ে করা হচ্ছে বাছাই। ভালো পেঁয়াজ নেয়া হচ্ছে আলাদা ঘরে। সেগুলো বিক্রি করা হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। নিম্নমানের কিছু পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে। আর কিছু বিক্রি করা হচ্ছে ৩০০ টাকা বস্তা দরে। এমনকি কিছু পেঁয়াজ ফেলেও দিতে হবে।

হিলি স্থল বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক আব্দুল্লাহ আল হেলাল বলেন, ‘যেসব পেঁয়াজ আমরা আমদানি করছি এগুলো ব্যাঙ্গালোরের সাউথ থেকে লোডিং করা হয়েছে। এরপর বন্দরে আসতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ দিন। পুরো রাস্তাটাই পেঁয়াজ ত্রিপল দিয়ে বাঁধা থাকে। ফলে অতিরিক্ত গরম ও বৈরী আবহাওয়ায় থেমে থেমে বৃষ্টি, ফলে পেঁয়াজগুলো গাড়িতে ঘেমে গিয়ে অনেকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলোকে গুদামে এনে ফ্যান দিয়ে শুকানো হচ্ছে।’

বৈরী আবহাওয়া নষ্ট হয়ে গেছে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ। ছবি: সময় সংবাদ

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই বলে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেয়। এইবার ব্যবসায়ীদের চিত্র সাংবাদিকদের দেখতে বলেন, কী অবস্থা হয়েছে পেঁয়াজের।’

কত টাকা ক্ষতি হবে এখনও হিসাব না করতে পারলেও তিনি বলেন, ‘অনেক বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে আমাকে।’

হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, সপ্তাহের প্রথম দিন শনিবারে ভারতীয় ৩৪ ট্রাকে আমদানি হয়েছে প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button