বাংলাদেশ

ফুটপাতেও মিলছে না “মুজিব কোট”

ফুটপাতেও মিলছে না “মুজিব কোট”

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, গুলিস্তানের এ ফুটপাতে আগের মতো মিলছে না মুজিব কোট। ছয় বোতামে ছয় দফার ইতিহাসকে ধারণ করা এই মুজিব কোটের বোতাম সংখ্যা ও কিছু পরিবর্তন এনে এখন বিক্রি হচ্ছে আলেম কোট বা শর্টকোট নামে।
বিক্রেতারা বলছেন, মুজিব কোট হচ্ছে ৬টি বোতাম, যা ছয় দফার ইতিহাসকে ধারণ করে। এখন ৬টি বোতাম নাই, কিন্তু ৫টি বোতাম আছে। মুজিব কোট তো এখন মার্কেটে চলবে না, এ কোট রাখলে আমাদের ব্যবসা তো একেবারে…। এ জন্য মুজিব কোট আমাদের পক্ষ থেকে বয়কট।

গুলিস্তানের জিপিওর ফুটপাতে যেন শীতকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ব্লেজার ও কোট ব্যবসায়ীরা। মাত্র এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে নতুন ব্লেজার বিক্রি করেন তারা। আর পুরাতন ব্লেজার পাওয়া যায় মাত্র পাঁচশ টাকায়। এ নিয়েই ফুটপাতের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের দর-কাষাকষিতে জমে ওঠে শীতের বাজার।

ফুটপাতে বসা এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের এখানে এক হাজার থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত একটি ব্লেজারের দাম আছে। এখানে আবার সেকেন্ড হ্যান্ড ব্লেজারও আছে। এ প্রোডাক্টগুলো আবার কম দামে বিক্রি হয়। কিছু ইউটিউবার এ প্রোডাক্টগুলোর প্রমোশন করে। এগুলা দেখে কাস্টমাররা এখনে এসে একটা ব্লেজারের দাম চায় পাঁচশ থেকে ছয়শ টাকা। তখনই দামের একটা হেরফের হয়ে যায়।

এই বিক্রেতার দাবি বিভিন্ন শোরুম তাদের থেকে ব্লেজার নিয়ে বিক্রি করে। তবে দামের পার্থক্য থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের এখান থেকে পাইকারি দামে নিয়ে অনেক শোরুমে এসব ব্লেজার তোলা হয়।

গত বছর প্রচুর মুজিব কোট বিক্রি করেছেন এই বিক্রেতা। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে এখন আর কেউ এই কোট চাচ্ছে না। তারা এখন আলেম কোট বা শর্টকোট নামেই নামকরণ করেছেন।

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ছয় বোতাম হচ্ছে ছয় দফার হিসাব। সে হিসাবেই এটাকে মুজিব কোট বল হতো। বর্তমানে মুজিব কোট কেউ চাচ্ছে না। কোম্পানি হয় তো দুই একটা তৈরি করতে পারে, কিন্তু আমরা এখনো পাই নাই। আমরা এখন পাঁচ বোতামেরটাই পাচ্ছি।

নামীদামি ব্রান্ডের শোরুমে বা নতুন একটি ব্লোজার তৈরি করতে গেলে শুধুমাত্র মুজুরি দিতে হয় ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা। সেখানে নিম্ন-মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে সবটুকু চাওয়া পূরণ করছে ফুটপাতের এই দোকানগুলো।

সূত্র: dailycomillanews

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button