বাংলাদেশ

রমজানে পিরিয়ড শুরু হলে করণীয়

ধর্ম ডেস্ক : রমজান মাসে নারীদের পিরিয়ড শুরু হলে রোজা রাখতে হবে না। তারা পরবর্তীতে এই রোজা কাজা করে নেবেন। নারীর জীবনযাত্রার সহজতার জন্য আল্লাহ তায়ালা এই বিধান দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—

شَهۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡهِ الۡقُرۡاٰنُ هُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡهُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَهِدَ مِنۡكُمُ الشَّهۡرَ فَلۡیَصُمۡهُ ؕ وَ مَنۡ كَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰهُ بِكُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِكُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُكۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُكَبِّرُوا اللّٰهَ عَلٰی مَا هَدٰىكُمۡ وَ لَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُوۡنَ

রমজান মাস, এতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষের হেদায়াতের জন্য এবং হিদায়তের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে।

তবে তোমাদের কেউ অসুস্থ থাকলে বা সফরে থাকলে অন্য দিনগুলোতে এ সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান এবং তোমাদের জন্য কষ্ট চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূর্ণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন সে জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

রোজা রাখার পর কোনো নারীর পিরিয়ড শুরু হলে তিনি রোজা ভেঙ্গে ফেলবেন এবং তখন থেকেই খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এমন নারীর জন্য খাওয়া-দাওয়ায় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে অন্যদের যেন কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং লোকজনের সামনে না খেয়ে নির্জনে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। (ফতোয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত, ৫/৪৭৪)

প্রসঙ্গত, নারীদের পিরিয়ড কোনো সমস্যা বা দোষণীয় বিষয় নয়। বরং নারীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রার অংশ। এই সময়ে তাদের জন্য ইসলামে নামাজ এবং রোজা না রাখার বিধান দেওয়া হয়েছে। মাসের নির্দিষ্ট দিনগুলোতে পিরিয়ডের কারণে নারীদের নামাজ পড়তে হবে না এবং নামাজের কোনো কাজাও করতে হবে না। তবে রোজার ক্ষেত্রে এই বিধানে ভিন্নতা রয়েছে।

শেখ পরিবারের কেউ যদি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে , তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব: বরকতউল্লা বুলু

পিরিয়ডের সময় রোজা রাখা যাবে না। কেউ রোজা রাখলেও তা আদায় হবে না। তবে পরববর্তীতে তা কাজা করে নিতে হবে। এ বিষয়ে আম্মাজান হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে,

كَانَ يُصِيبُنَا ذَلِكَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وآله وسلم فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلا نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّلاةِ

আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জীবনকালে আমাদের ঋতুস্রাব হলে আমাদেরকে (রোজা ভেঙে পরবর্তীতে) রোজার কাজা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হতো, কিন্তু নামাজের কাজা আদায়ের আদেশ দেওয়া হতো না। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

সোর্স: জুম বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button