বাংলাদেশ

ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস ও বাংলাদেশে উদযাপন!

লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপিত হয়। এর উৎপত্তি নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। একটি  প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী, রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস বিশ্বাস করতেন যে বিবাহিত পুরুষরা যুদ্ধে অংশগ্রহণে অনাগ্রহী হন। তাই তিনি বিবাহ নিষিদ্ধ করেন। তবে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের এক পুরোহিত এই আদেশ অমান্য করে গোপনে বিবাহ সম্পন্ন করাতেন। এ কারণে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার স্মরণে ভালোবাসা দিবস পালিত হয়ে আসছে।

আরেকটি কাহিনী অনুযায়ী, ভ্যালেন্টাইন ছিলেন একজন চিকিৎসক, যিনি কারারক্ষীর অন্ধ মেয়ের চিকিৎসা করতেন। মৃত্যুর আগে তিনি মেয়েটিকে একটি বিদায় বার্তা লিখে যান, যেখানে লেখা ছিল, “ইতি, তোমার ভ্যালেন্টাইন।” এরপর থেকে এই দিনটিকে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে পালন করা হয়।

ভালোবাসা দিবসের বিবর্তন ও বর্তমান প্রেক্ষাপট:

৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে পোপ জেলাসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসেবে ঘোষণা করেন। তবে, ভালোবাসার দিবসের জনপ্রিয়তা একদিনে তৈরি হয়নি। মধ্যযুগে ইউরোপে বিশ্বাস করা হতো, ফেব্রুয়ারি মাসে পাখিরা তাদের সঙ্গী খুঁজতে শুরু করে। সেই ধারণা থেকেই ভালোবাসা দিবস প্রেমের প্রতীক হয়ে ওঠে।

১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার ভালোবাসা দিবস নিষিদ্ধ করেছিল, একইভাবে ইংল্যান্ডের পিউরিটানরাও এই দিবসকে নিষিদ্ধ করেছিল। তবে, সময়ের সাথে সাথে এটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিবস হিসেবে পালিত হয়।

বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস উদযাপন:

বাংলাদেশে নব্বইয়ের দশক থেকে ভালোবাসা দিবস উদযাপন শুরু হয়। বর্তমানে এটি তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এ দিনটিতে ফুল, উপহার ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভালোবাসা দিবস নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

Valentine’s Day অফারে প্রিমিয়াম স্মার্টফোনে বিশাল ছাড়!

বিশ্বজুড়ে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রায় ৩ কোটি শুভেচ্ছা কার্ড আদান-প্রদান করা হয়। বাংলাদেশেও উপহার সামগ্রী, রেস্টুরেন্ট ও বিনোদন কেন্দ্রে বিশেষ আয়োজন লক্ষ্য করা যায়।

সোর্স: জুম বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button