বাংলাদেশ

‘রাতের ভোট’ নিশ্চিত করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হত বিভিন্ন পদক!

জুমবাংলা ডেস্ক : ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার গত ১৫ বছরে পুলিশ প্রশাসনে দলীয়করণ এবং দুর্নীতি সমর্থন করেছে। পুলিশের নিয়োগ, পদোন্নতি এবং পদায়নে ব্যাপক অনিয়মের মধ্যে দলীয় প্রভাব ছিল প্রবল। সরকারের শাসনামলে পুলিশ পদকও দলীয় পদকে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ভিন্নমত দমন এবং ‘রাতের ভোট’ নিশ্চিত করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন পদক দেওয়া হয়, যা নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়। নির্বাচনী কাজের জন্যও পুলিশের কিছু সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ পদক প্রদান প্রক্রিয়া শুরু হয় দরখাস্ত আহ্বানের মাধ্যমে। এরপর বিভিন্ন ইউনিট থেকে আবেদন যাচাই-বাছাই করা হয় এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) তা চূড়ান্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠান। মন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠিয়ে তার অনুমোদন নেয়, তারপর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ২০২৪ সালে পুলিশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪০০ জনকে পদক দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ৩৪৯ জনকে পদক দেওয়া হয়েছিল, যা ছিল পুলিশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা।

পুলিশের এই পদক প্রদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ জানিয়েছেন, সাহসিকতা এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুলিশ পদক দেওয়া উচিত, তবে বিগত বছরগুলোতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে অনেক যোগ্য পুলিশ সদস্য পদক থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক তদবিরের ফলে পদক দেওয়া হয়েছে তাদের, যারা শুধুমাত্র রাজনৈতিক কাজে জড়িত ছিলেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর, যেখানে ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল, সেখানে পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করা হয়। ২০১৮ সালে রাতের ভোটে সহযোগিতার জন্য ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার এবং র‌্যাবের কর্মকর্তাদের পদক দেওয়া হয়।

কর্মক্ষেত্রে নিজেকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কৌশল

এছাড়া, ২০২৪ সালের পুলিশ সপ্তাহে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আবদুল বাতেন, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান এবং অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের বিপিএম, পিপিএম সেবা পদক দেওয়া হয়। এসব পদক বিতরণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠে।

সোর্স: জুম বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button