বাংলাদেশ

হাতিতে চড়ে বর এসে বউ নিয়ে গেলেন পালকিতে

জুমবাংলা ডেস্ক : হাতে ছোট ছোরা, মাথায় পাগড়ি পরে বর চড়লেন হাতিতে; পেছনে ঘোড়ায় টানা টমটমে বরযাত্রী। গ্রাম ঘুরে কনের বাড়ি গিয়ে পরিণতি দিলেন ছয় মাসের প্রেমের ।

বৃহস্পতিবার এমন রাজকীয় আয়োজনেই বিয়ে সারলেন ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার নবগ্রামের মো. নিশান আহমেদ শাওন। আর কনে ছিলেন পাশের বাড়ির মোছা. জেবা খাতুন। তারা দুজনেই কলেজের শিক্ষার্থী।

শাওনের দাদা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, আমার আশা ছিল বড় নাতি হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে যাবে। আজ সেই আশা পূর্ণ হলো।

বরের বাবা ফারুক হোসেন ঢাকায় ব্যবসা করেন। আর মা রিক্তা খাতুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি করেন। অপরদিকে কনে জেবা খাতুনের বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম গ্রামের সম্ভ্রান্ত কৃষক, মা সুরাইয়া পারভীন গৃহিণী।

বর শাওন বলেন, ছয় মাস আগে জেবার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। পরে দুই পরিবারের সদস্যরাও সম্মতি দেন। তার ওপর দাদার আয়োজনে হাতির পিঠে চড়ে কনের বাড়ি যাওয়া আরও বড় আনন্দ। তাই আমরা দুজনেই অনেক খুশি।

বরের পরিবারের সদস্যরা জানান, ছেলে-মেয়ে দুইজনে দুইজনকে পছন্দ করার বিষয়টি জানতে পারায় বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব যায়। কনে পক্ষও রাজি হয়ে যায়।

পরে গত মঙ্গলবার থেকে বর-কনে পক্ষ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় মেতে উঠে। ফুলে-রঙিন আলোয় সাজানো হয় তাদের বাড়ি। বাজতে থাকে ব্যান্ড পার্টি।

এর মধ্যেই দাদা আব্দুল মান্নানের ইচ্ছায় আনা হয় হাতি ও পালকি। পাবনা থেকে আসে দুই ঘোড়ায় টানা টমটম।ফুলে-ফুলে সেগুলোও সাজানো হয়।

অবশেষে বৃহস্পতিবার বর শাওন রাজকুমার বেশে হাতির পিঠে উঠে বসেন। সারা গ্রাম ঘুরে কনের বাড়িতে হাজির হন। হাতির পিছু পিছু টমটম গাড়ি চড়ে ও পায়ে হেঁটে সঙ্গী হন গ্রামের ছেলে-বুড়ো।

কনে বাড়িতে বরযাত্রী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্যও ছিল নানা পদের ভুরিভোজের ব্যবস্থা।

বরের মা রিক্তা খাতুন বলেন, ছেলেকে হাতির পিঠে সাজিয়ে কনে আনতে পাঠাতে পেরে তিনি খুশি। তাদের এলাকায় হাতির পিঠে চড়ে বরের বিয়ে করতে যাওয়া আগে কখনো দেখা যায়নি।তাই বর যাত্রা দেখে গ্রামবাসীও আনন্দ পেয়েছে।

প্রথম নাটকে কত পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন মেহজাবীন

বর পক্ষের অতিথি নাজির উদ্দিন বলেন, শুনেছি রাজা-বাদশাহরা হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে যেত। আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় সে দৃশ্য গ্রামে বসে দেখলাম।

সোর্স: জুম বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button