বাংলাদেশ

শিবিরের উদ্যোগে নস্টালজিক পিনাকী ভট্টাচার্য

জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশি লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য বাংলাদেশ ছাত্র শিবির আয়োজিত সায়েন্স ফেস্টের উদ্যোগকে ঘিরে তার ফেসবুকে নস্টালজিক স্মৃতিচারণ করেছেন। তার পোস্টে তিনি ১৯৮০-এর দশকে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময় জেলায় জেলায় অনুষ্ঠিত জাতীয় বিজ্ঞান মেলার কথা তুলে ধরেন, যা শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানচর্চায় উৎসাহ জোগাত।

বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে পিনাকী শিবিরের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

পোস্টে তিনি লিখেন, ‘শিবিরের সাইন্স ফেস্টের আইডিয়াটা দুর্দান্ত। ইনফ্যাক্ট, এই আইডিয়াটা ছিলো জিয়ার। তখন জেলায় জেলায় সায়েন্স মেলা হতো। স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা তাদের প্রজেক্ট নিয়ে আসতো। যারা ফার্স্ট হতো তারা জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিতো। আমি একবারই অংশ নিয়েছিলাম, তখন আমি ক্লাস নাইনে বা টেনে পড়ি বগুড়া জিলা স্কুলে। ফার্স্ট হলাম স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বগুড়ায়। আমরা এলাম ঢাকায়, কাকরাইল মসজিদের সামনে একটা ফাঁকা মাঠের মতো ছিলো তখন। ওইখানে হলো, জাতীয় বিজ্ঞান মেলা। প্রেসিডেন্ট জিয়া আসলেন উদ্বোধন করতে। আমি সামনের সিটে বসে শুনলাম উনার উদ্বোধনী বক্তৃতা। খুব ভালো মনে নাই কী বলেছিলেন, আগ্নেয়গিরির একটা মেটাফোর দিয়ে বলেছিলেন, যে আজকে যারা এইখানে এসেছো একদিন পৃথিবীর বুক ফুঁড়ে আগ্নেয়গিরির মতো অগ্নুৎপাত করবে তোমরা। দারুণ ইন্সপিরেশনাল। প্রেসিডেন্ট এসে উদ্বোধন করেন এমন গুরুত্বপূর্ণ ছিলো বিজ্ঞান মেলা তখন।’

এরপরে মনে হয় বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো এই উদ্যোগ- উল্লেখ করে পিনাকী ভট্টাচার্য আরও লিখেন, ‘প্রত্যেকের গড়ে ওঠার একটা জার্নি থাকে। আমারো ছিলো। শিবিরের সায়েন্স ফেস্ট দেখে কিঞ্চিৎ নস্টালজিক হলাম। যারা অংশ নিয়েছে আজকে ওই ফেস্টে, আমি শিওর তার মধ্যেও আছে সেই আগামীর স্বাপ্নিক, যোদ্ধা। আমার শুভকামনা রইলো তাদের প্রতি। শুধু এই দোয়া করি, আমার মতো যেন তাদের জীবনটা নির্বাসনে না কাটে।’

উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ‘ইবনে আল-হাইসাম সায়েন্স ফেস্ট ২০২৪’ উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার প্রদর্শনী এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী এই উৎসব সন্ধ্যা ৬টা টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

সোর্স: জুম বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button