বাংলাদেশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে চার আবাসিক নারী শিক্ষার্থীর মাদক সেবন!

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে চার আবাসিক নারী শিক্ষার্থীর মাদক সেবন!

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনীতি-শান্তি হলের ২১৪ নম্বর রুমে বসে নিয়মিত মাদক সেবনের অভিযোগ উঠেছে হলের চার আবাসিক নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে হলের পঞ্চাশজন শিক্ষার্থী প্রক্টর ও হল প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। এই অভিযোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছেন মাদক সেবনে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী।

অভিযুক্তরা হলেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম ও একই বিভাগের রাবিনা ঐশি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাদক সেবনের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর হলের সি ব্লকের কয়েকটি রুমে যান তারা।

এসময় শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চান, অভিযোগপত্রে তারা সাক্ষর করেছে কি না। তখন শিক্ষার্থীরা বিষয়টি স্বীকার করলে তাদের গালমন্দ করেন এবং ‘খেলে’ দেওয়ার হুমকি দেন।

এদিকে হুমকিধমকির একটি অডিও ক্লিপ প্রতিবেদকের কাছে পাঠান ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী। অডিও ক্লিপে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ছাত্রলীগ করে খেলে আসছি, এখনও খেলে দেবো, আসো। তোদের মতো পতিতা না, মেয়ে নিয়ে রুমে রুমে যাবো। তোদের সবাইকে দেখে নিবো, সব বের করবো।’

এসময় রাবিনা ঐশি বলেন, ‘গাঁজা লাগবে গাঁজা? গাঁজা দিতে আসছি।’

তাদের এমন আচরণে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা আতংকিত হয়ে পড়ে বলে জানান এক শিক্ষার্থী।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে লাবিবা ইসলাম বলেন, ‘আমি কাউকে হুমকি দেইনি। আমি বাইরে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলাম। আমার সাথে একজন উল্টাপাল্টা কথা বলছিল, আমি তার সাথে চিৎকার করেছি। হলের মেয়েদের সাথে চিল্লাপাল্লা করিনি।’

অন্যদিকে, রাবিনা ঐশি বলেন, ‘আগামীকাল আমার পরীক্ষা। পাশের ব্লক থেকে বন্ধুরা আসছিল, আমরা নিউজটা নিয়েই কথা বলছিলাম। আমি সার্কাস্টিক হয়ে বলেছিলাম— ‘আমরা তো গাঁজা খাই। গাঁজা লাগবে, গাঁজা?’ তখন আমি এক্সাক্টলি কী বলেছি, তা মনে নেই।’

হলের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত দুজনসহ চারজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ করেন। হলের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে বলা হয়, সুনীতি-শান্তি হলের ২১৪ নম্বর কক্ষ দখল করে মাদক সেবন করা হয়।

অন্য অভিযুক্তরা হলেন—আতেফা লিয়া, ফার্মাসি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ এবং মাইশা রহমান রোদিতা, আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ।

এদিকে মাদকের অভিযোগের ভিত্তিতে সভা করেছে প্রক্টরিয়াল বডি। তবে সিদ্ধান্ত এখনই প্রকাশ করা হবে না বলে প্রক্টরিয়াল বডি সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র: dailycomillanews

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button