বাংলাদেশ

বাংলাদেশে জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ

জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর প্রায় এক দশক কেটে গিয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেকে এটি এখনো পুরোপুরি নির্মূল করা হয় সম্ভব হয়নি। একই এলাকায় পাঁচ ব্যক্তির সংক্রমণের বিষয়ে তথ্য রয়েছে আন্তর্জাতিক গবেষণা উদরাময় কেন্দ্রের নিকটে। এটিকে জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার সংক্রমণ হিসেবে দেখা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

গত ৩ মার্চ আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ-আইসিডিডিআরবি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৩ সালে ১৫২ জন রোগীর নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। জ্বরের পাশাপাশি তাদের ভাইরাসের আরও কিছু লক্ষণ ছিল। নমুনাগুলোর পাঁচজনের মধ্যে জিকার সংক্রমণ ধরা পড়ে। যারা সবাই ঢাকার একই এলাকার বাসিন্দা এবং পাঁচজনই পুরুষ।

এডিস মশাবাহিত এই ভাইরাসে পাঁচজন রোগীর শনাক্ত হওয়াকে ‘ক্লাস্টার’ বা স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত উল্লেখ করে দেশে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত আরও রোগী পাওয়ার আশঙ্কা করেন গবেষণা দলের প্রধান ড. শফিউল আলম।

শফিউল আলম বলেন, প্রতিবেদনে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা আগের বছরের হিসাব। চব্বিশ সালের হিসাব করলে শনাক্ত আরও বাড়তো। যেহেতু আমরা পরীক্ষা না করায় বিস্তরভাবে জানতে পারছি না। কিন্তু এই ভাইরাস ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

জিকা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুঝুঁকি কম হলেও অন্যান্য সংক্রামক ব্যাধির মতোই যাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, অন্তঃসত্ত্বা নারী, যারা আগে থেকেই অন্যান্য রোগে ভুগছেন তাদের ঝুঁকি বেশি। বাড়তে পারে গুলেন বারি সিন্ড্রোম- জিবিএসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও। তবে এখনও দেশে কোনো গর্ভবতী নারী সংক্রমিত হওয়ার তথ্য মেলেনি বলে জানান এই গবেষক।

এর আগে বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত ১১ জন রোগী পাওয়ার কথা জানায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা  প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআর।

সোর্স: জুম বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button