বাংলাদেশ

‘টাইম ট্রাভেল’ গাণিতিকভাবে সম্ভব

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরে কেবল কল্পবিজ্ঞান হিসেবেই বিবেচিত হয়েছে সময় ভ্রমণ। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, এটি গাণিতিকভাবে সম্ভব হতে পারে। ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ বেন টিপেট এবং মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভিড স্যাং আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের ভিত্তিতে একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করেছেন, যা সময় ভ্রমণের সম্ভাবনাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

এই দুই গবেষক একটি তাত্ত্বিক টাইম মেশিনের ধারণা উপস্থাপন করেছেন, যার নাম TARDIS (Traversable Acausal Retrograde Domain in Space-time)। মজার বিষয় হলো, জনপ্রিয় বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর সিরিজ Doctor Who-এর টাইম মেশিনের অনুকরণেই এই নামকরণ করা হয়েছে।

তাদের গবেষণা বলছে, মহাকর্ষের প্রভাবে সময়ও স্থানের মতো বেঁকে যেতে পারে। আর যদি সঠিক শর্ত পূরণ করা যায়, তবে এটি একটি বৃত্তাকার পথ তৈরি করতে পারে, যা একজন যাত্রীকে অতীতে কিংবা ভবিষ্যতে ভ্রমণের সুযোগ দেবে।

তবে বাস্তবে এটি রূপ দেওয়া সহজ নয়। টিপেট ও স্যাং-এর TARDIS তৈরির জন্য দরকার হবে “এক্সোটিক ম্যাটার”—একটি বিশেষ ধরনের কাল্পনিক পদার্থ, যা মহাকাশ-সময়কে ভিন্নভাবে বাঁকানোর ক্ষমতা রাখে। কিন্তু এখনো এ ধরনের কোনো পদার্থের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও, অনেক বিজ্ঞানী যুক্তি দেন যে সময় ভ্রমণ নানাবিধ জটিলতার সম্মুখীন হতে পারে। অনেকে মনে করেন, ভবিষ্যৎ এখনো তৈরি হয়নি, তাই সেখানে যাওয়াও সম্ভব নয়।

যদিও এখনই কোনো কার্যকর টাইম মেশিন বানানো সম্ভব নয়, তবুও বিজ্ঞানী বেন টিপেট মনে করেন, মহাকাশ-সময়ের প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “মহাকাশ-সময় অধ্যয়ন করা একইসঙ্গে চিত্তাকর্ষক এবং সমস্যাসঙ্কুল।”

প্রাণীর মস্তিষ্কের কোষে চলে কম্পিউটার

সময় ভ্রমণের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পাক বা না পাক, মানব সভ্যতা নতুন নতুন জ্ঞানের সন্ধানে এগিয়ে যেতে থাকবে—এটাই ভবিষ্যতের বাস্তবতা!

সূত্র: দি ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া

সোর্স: জুম বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button