বাংলাদেশ

টুঙ্গিপাড়ায় সেনাবাহিনীকে তথ্য দেওয়ার সন্দেহে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ

জুমবাংলা ডেস্ক : গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীকে তথ্য দিয়ে কয়েকজনকে ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহে এক সাংবাদিককে মারধর করে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণি ইউনিয়ন পরিষদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম আফ্রিদি গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি ও বর্নি ইউনিয়নের বাসিন্দা।

আহত সাংবাদিকের মা কুমকুম বেগম বলেন, ‘গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়ি পোড়ানোর মামলার এজাহারনামীয় কিছু আসামি টুঙ্গিপাড়ার বর্নি গ্রামের বাসিন্দা। আসামিদের ধরতে সেনাবাহিনী বর্নি গ্রামে দুবার অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে বর্নি গ্রামের মন্টু মুন্সী, ইয়াকুব মুন্সী ও জিকরুল মুন্সী নামের তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল সোমবার তারা জামিনে মুক্তি পায়। আর তাদের ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহে আমার ছেলেকে মারধর করে আহত করে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’

আহত সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম আফ্রিদি বলেন, ‘সংবাদ সংগ্রহ শেষে সোমবার রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে বর্নি ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মন্টু মুন্সী ও জিকরুল মুন্সীর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন আমার ওপর হামলা করে। সেনাবাহিনীকে তথ্য দিয়ে তাদের ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহে গতকাল জামিনে বের হয়েই রাতে আমার ওপর হামলা করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে ৯৯৯-এ ও উপজেলার অন্য সাংবাদিকদের জানালে তাঁরা এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে মন্টু ও জিকরুলের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের বাড়িতেও হামলা করে করে। এর আগেও তারা আমাকে হুমকি দিয়েছিল। এ ঘটনায় টুঙ্গিপাড়া থানায় একটা সাধারণ ডায়েরিও করেছিলাম। তাই প্রশাসন ও সরকারের কাছে এ ঘটনার বিচার চাই।’

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমরান শেখ বলেন, ‘সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম আফ্রিদির ওপর যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জিকরুল মুন্সির মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোর্স: জুম বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button