বাংলাদেশ

ধর্মান্তরিত হওয়া মনি কিশোরের ইচ্ছাতেই হবে দাফন

নিরবে নিভৃতে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ‘কি ছিলে আমার, বলো না তুমি’খ্যাত গায়ক মনি কিশোর। নব্বই দশকের শ্রোতাপ্রিয় এ শিল্পীর বিদায়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংগীতাঙ্গনে।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, মৃত্যুর প্রায় চার-পাঁচদিন পর রামপুরার ভাড়া বাসা থেকে মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে তার মৃত্যুর কারণ এখন জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামপুরা থানার পুলিশ কর্মকর্তা খান আবদুর রহমান।

এদিকে মারা যাওয়ার পর গায়কের মরদেহ কী করতে হবে, তা বলে গিয়েছিলেন একমাত্র মেয়ে নিন্তিকে। বর্তমানে শিল্পীর মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। সেখান থেকে তার পরিবারকে তিনি জানিয়েছেন, বাবার শেষ ইচ্ছের কথা। মনি কিশোর মেয়েকে বলে গেছেন তার মৃত্যুর পর যেন ইসলাম ধর্মমতে তাকে দাফন করা হয়।

মনি কিশোরের বড় ভাই অশোক কুমার গণমাধ্যমে বলেন, নিনিন্তি জানিয়েছে তার বাবাকে যেন দাফন করা হয়। এমনটাই নাকি ওর বাবা ওকে বলে গিয়েছিল। যেহেতু মেয়েকে বলে গিয়েছে, তাই তার ইচ্ছায় দাফন করা হবে।

নড়াইল জেলার লক্ষ্মীপুরে মামাবাড়িতে ১৯৫৮ সালে জন্ম মনি কিশোরের। পুলিশ কর্মকর্তা বাবা অনিল কুমার মণ্ডলের ছেলে অরুণ কুমার মণ্ডল ছিলেন কিশোর কুমারের ভক্ত। ডাকনাম ছিল মনি। কিশোর কুমারের ভক্ত ছিলেন বলে নামের সঙ্গে ‘কিশোর’ জুড়ে নিয়েছিলেন।

নব্বই দশকের শুরুতে বিয়ে করেন মনি কিশোর। তখন ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি। এরপর মুসলিম হিসেবেই জীবন যাপন করেছেন। দেড় যুগ আগে স্ত্রীর সঙ্গে তার দাম্পত্যজীবনের ইতি ঘটে। রামপুরায় একটি ভাড়া বাসায় একাই থাকতেন তিনি।

শেষজীবনে মনি কিশোর নানা রোগে ভুগছিলেন। হার্টের সমস্যা যেমন ছিল, তেমনি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায়ও কাবু ছিলেন এই গায়ক। গত কয়েক মাস ধরে সমস্যাগুলো আরো বেড়েছিল। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন শ্রোতাপ্রিয় এ শিল্পী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button