বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো সাবেক ডিএমপি কমিশনার ফারুককে, কোথায় পালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি?
পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুককে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে। তিনি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক যাচ্ছিলেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানিয়েছে, সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক রবিবার থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাংকক যাচ্ছিলেন। তবে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটকে দেয়।
বর্তমানে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে থাকা ফারুককে থানায় হস্তান্তর করা হবে নাকি তিনি বাড়ি ফিরে যাবেন এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গত ২০ আগস্ট হত্যাচেষ্টা, মারধর ও হুমকির অভিযোগে এক আইনজীবীর করা মামলায় আসামি হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড থাকা গোলাম ফারুক ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশর ৩৫তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
আইনজীবীর করা হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি
হত্যাচেষ্টা, মারধর ও হুমকির অভিযোগে ২০ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে ভুক্তভোগী আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়ার করা এক মামলায় ২ নম্বর আসামি সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ আরও ১৪ পুলিশ কর্মকর্তাও আসামি।
৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ
দুদকেও খন্দকার গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে তিন হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ এনে আইনগত ব্যবস্থা চেয়ে আবেদন জমা পড়েছিল। যেখানে গোলাম ফারুক আমেরিকার গ্রিন কার্ডধারী বলে উল্লেখ করা হয়।
গত ২৮ জুলাই দুদকে করা ওই অভিযোগে আরও বলা হয়, গোলাম ফারুক চাকরিজীবনে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে সারা দেশ থেকে এমনকি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
খন্দকার গোলাম ফারুকের স্ত্রীর ভাই-বোনেরা আমেরিকার নাগরিক। গোলাম ফারুক তার নিকট আত্মীয়দের মাধ্যমে অবৈধ আড়াই হাজার কোটি টাকা দেশটিতে পাচার করেছেন বলে দুদকে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া সাবেক এ ডিএমপি কমিশনার দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ ও নগদ টাকার মালিক। এসব সম্পদ ও নগদ টাকা নিকট আত্মীয়, স্বজনদের নামে এবং বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছে অভিযোগে বলা হয়।