রাষ্ট্রপতির অপসারণে নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান সরকারকে জানিয়ে দিল গণঅধিকার
ফ্যাসিস্ট নিরসনে রাষ্ট্রপতির অপসারণসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির তিন দফা দাবির সঙ্গে একমত হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। দলটির ভাষ্য, সব দলের ঐক্য গড়ে তোলা না গেলে রাষ্ট্রপতি অপসারণ করা ঠিক হবে না। আর এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়ার আহবান জানিয়েছে দলটি। তাদের দাবি, প্রয়োজনে জাতীয় সরকার গঠন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
রোববার রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব জানান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, নতুন করে সংবিধান, দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বীকৃতি ও বিগত তিনটি নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একমত হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
তিনি জানান, গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত করতে আলোচনা হয়েছে। আর কোনো দল যেন আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে সে বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদ একমত হয়েছে।
এসময় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, অবৈধ রাষ্ট্রপতি তার পদে থাকার অধিকার রাখে না। বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো- এই রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নেয়া। এই সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে হলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ যারা ভিন্ন মত দিচ্ছেন, তাদের এক না করতে পারলে রাষ্ট্রপতিকে সরানো যাবে না। প্রয়োজনে উন্মুক্ত সংলাপ করতে হবে। রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দিলে যে সঙ্কট তৈরি হবে তা নিয়ে সেনাবাহিনীসহ সবার মতামত নেয়া প্রয়োজন।
তিনি মনে করেন, সরকারের এই বিষয়ে পরিষ্কার বক্তব্য এবং জাতীয় সংলাপ আহবান করা উচিত।
রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দেয়া নিয়ে সেনাপ্রধান ও সরকার কী ভাবছে তা গণঅধিকার পরিষদ জানতে চায় দাবি করে তিনি বলেন, সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে হলে জাতীয় ঐক্যেরভিত্তিতে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে রাশেদ বলেন, এ ব্যাপারে তাদের দল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একমত পোষণ করে।
এসময় সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানায় গণঅধিকার পরিষদ।
এর আগে রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামি আন্দোলন ও বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। সোমবার একই ইস্যুতে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে তাদের বৈঠকের কথা রয়েছে।