বাংলাদেশ

ট্রাম্পের বাংলাদেশ নিয়ে টুইটের উত্তরে যা বললেন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট করেছেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দেশটিতে দলবদ্ধভাবে তাদের ওপর হামলা ও লুটপাট চালানো হচ্ছে।

ট্রাম্পের মতে, বাংলাদেশ এখন পুরোপুরিভাবে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে। তার সময়ে এমনটা কখনো হয়নি উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, কমলা ও জো (প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন) বিশ্বজুড়ে ও আমেরিকায় হিন্দুদের উপেক্ষা করে আসছে। ইসরায়েল থেকে ইউক্রেন এবং সেখান থেকে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত পর্যন্ত এলাকার জন্য তারা একটি বিপর্যয় হয়ে এসেছেন। সেখানে আমরা আবার আমেরিকাকে শক্তিশালী করব এবং সেই শক্তি দিয়ে আবার শান্তি ফিরিয়ে আনব।

যুক্তরাষ্ট্রেও ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকে হিন্দুদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমরা আপনাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করব। আমার প্রশাসনের সময় আমরা ভারত ও আমার ভালো বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমাদের বৃহত্তর অংশীদারত্ব আরও জোরদার করব। সবশেষে, সবাইকে দীপবলীর শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট শেষ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমি আশা করি, আলোর এ উৎসব খারাপকে হটিয়ে শুভর বিজয় নিয়ে আসবে।

তার এই পোস্টের জবাব দিয়েছেন সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় সদ্য নিয়োগ পাওয়া রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী। তিনি লিখেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার গুরুত্ব অনুধাবন করার জন্য, তা সংখালঘুরা বিশ্বের যেখানেই হোন কিংবা যে ধর্মেরই। তবে, প্রকৃত পরিস্থিতি বুঝতে সঠিক তথ্য যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। আজই সুইডেনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা নেত্র নিউজ একটি ফ্যাক্ট-চেক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যাতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর প্রচারিত অপতথ্যের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

ওই পোস্টে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী নেত্র নিউজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের লিংক জুড়ে দেন। আক্রান্তদের যথাযথ সহায়তা প্রদান এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সোর্স: দৈনিক দিগন্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button