বাংলাদেশ

রকেটের পর এবার ইসরাইলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ

রকেটের পর এবার ইসরাইলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় হাইফা শহরের শিল্প এলাকার একটি কারখানায় আঘাত হানে হিজবুল্লাহর ড্রোন।

শনিবার ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। এরইমধ্যে একটি ড্রোন ইসরাইলের বিমান বাহিনী ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়। আরেকটি ড্রোন নাহারিয়া এলাকার কাছে একটি কারখানায় আঘাত হানে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর জানা যায়নি।

এদিকে, এর আগে ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলীয় টিরা শহরে রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এতে অন্তত ১৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, মধ্য ইসরাইলের টিরা শহর লক্ষ্য করে তিনটি রকেট হামলা চালানো হয়। এ সময় শ্যারন এবং ড্যান এলাকায় সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে।

এছাড়া মধ্য ইসরাইলের হার্জলিয়া, রানানা ও কেফার সাবা, সাফেদ ও আপার গালিলি অঞ্চলেও বেজে ওঠে সতর্কতা সাইরেন।

আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রকেট প্রতিরোধ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তারপরও একটি এলাকায় হামলায় ক্ষয়ক্ষতির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে সেটি সরাসরি রকেটের আঘাতে হয়েছে না কি প্রতিরোধের কারণে ক্ষেপণাস্ত্রের শার্পনেলের আঘাতের কারণে তা উল্লেখ করেনি আইডিএফ।

ড্যাশ ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে অনুযায়ী, টিরা শহরে একটি বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা গেছে।

ইসরাইলের মেগান ডেভিড আদম অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ভোররাতে টিরা শহরে এই হামলা চালানো হয়।

ইসরাইলি পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজন মাঝারি ধরনের আহত হয়েছে। বাকিরা হালকা আহত। তাদের সবাইকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলি একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে- টিরা শহরে একটি ভবনে রকেট আঘাত হানে। এতে ওই ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে বেশ কয়েকজন। সেখানে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য দমকল বাহিনীর অন্তত পাঁচটি ইউনিটকে ডাকা হয়। তারা কমপক্ষে আটজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে কয়েকজন আহত হয়েছেন।

এদিকে লেবাননে ইসরাইলি বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

সোর্স: দৈনিক দিগন্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button