বাংলাদেশ

কার ইশারায় ভারতে বসে জনমত গঠনের চেষ্টা করছেন হাসিনা

Skip to content

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। পরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। সংঘাত ঠেকাতে না পারায় তাকে পদত্যাগ করার জন্য ৪৫ মিনিট সময় দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পদত্যাগের পর (৫ আগস্ট) বেলা আড়াইটার দিকে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা।

বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার শেখ হাসিনাকে নিয়ে যাত্রা করে। এ সময় শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। এর আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চাইলে শেখ হাসিনা সেই সুযোগ পাননি। তিনি একটি ছাই রঙের মিলিটারি হেলিকপ্টারে চড়ে শেখ হাসিনা বিমানবন্দরে যান। সেখানে আগে থেকেই একটি সবুজ রঙের প্রাইভেট কার ও একটি কালো রঙের টয়োটা প্রাডো গাড়ি অবস্থান করছিল।

হেলিকপ্টারটি অবতরণ করার পরপরই পাঁচ-ছয়জন কালো ব্লেজার পরা ব্যক্তি শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টার থেকে বের হয়ে দ্রুত কালো প্রাডো গাড়ির দিকে হাঁটতে থাকেন। এ সময় তিনি কারও সঙ্গে কোনো কথা বলছিলেন না। শেখ হাসিনা গাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে একজন গাড়ির চালকের পেছনের দরজা খুলে দেন। তখনই শেখ হাসিনা গাড়িতে উঠে যান। এ সময় শেখ হাসিনা অন্য কোনো দিকে তাকাচ্ছিলেন না, কারও সঙ্গে কোনো কথাও বলছিলেন না। হেলিকপ্টারটি ভারতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

পরে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণভবন অভিমুখে যাত্রা কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশে একটা ক্রান্তিকাল চলছে। সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ করেছিলাম। আমরা সুন্দর আলোচনা করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটি অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করা হবে। এই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের অধীন দেশের সব কার্যক্রম চলবে।

এরপর থেকেই মূলত এখন পর্যন্ত ভারতেই অবস্থান করছেন হাসিনা।সর্বশেষ দিল্লির লোধী গার্ডেনে অবস্থানের কথা জানা যায়।পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলেও দিল্লি হাসিনাকে টিডি প্রদান করে।বিভিন্ন সময়ে অডিও কলে ও নেতাকর্মীদের ও বার্তা দেওয়ার খবর পাওয়া যায়।সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাংলাদেশ পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে ।ভারত ভালো বন্ধু।তার এই বার্তার পরেই বিভিন্ন মহলে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।দেশের বেশিরভাগ ট্রাম্প এর মন্তব্যের পরেই বলছেন মূলত দিল্লিতে বসেই ইউনূস সরকারকে চাপে ফেলে জনমত গঠনের চেষ্টা করছেন হাসিনা।তবে হাসিনার জনমত গঠনে দিল্লির ইঙ্গিত রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।দিল্লি এ বিষয়ে কোন মন্তব্যও করেনি।এটা এখনো জনগণের ভাবনাতেই রয়ে গেছে।

Post navigation

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button