বাংলাদেশ

প্রেমের টানে বাংলাদেশে লঙ্কান যুবক, করলেন বিয়ে

প্রেমের টানে বাংলাদেশে লঙ্কান যুবক, করলেন বিয়ে

এবার বাংলাদেশি তরুণী সুবর্ণা আক্তারের প্রেমের টানে পটুয়াখালীতে ছুটে এসেছেন শ্রীলঙ্কার যুবক দিলশান মাদুরাঙ্গা। গত বুধবার (৬ নভেম্বর) তিনি পটুয়াখালীর দশমিনায় আসেন এবং বৃহস্পতিবার সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি মেনে পরিবারিক সম্মতিতে তাদের বিবাহ হয়। এ বিষয়টি শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জানাজানি হলে উপজেলার মানুষ এই নব দম্পতিকে এক নজর দেখতে সুবর্ণার বাড়িতে ভিড় করতে থাকে।

জানা যায়, পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য গছানী গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন সিকদারের মেয়ে সুবর্ণা গত পাঁচ বছর আগে কাজের সন্ধানে জর্ডানে যান। সেখানে গিয়ে তিনি একটি গার্মেন্টসে পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। একই পোশাক কারখানায় সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন দিলশান মাদুরাঙ্গা। কাজের সুবাদে পরিচয় হয় তাদের, পরে তাদের মধ্যে দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেমের সম্পর্ক চলে।

দিলশান মাদুরাঙ্গা শ্রীলঙ্কার কুরুনাগাল জেলার দুমমলচুরিয়া থানার ন্যাবটাকা উডুবাগদা গ্রামের লাকমালের ছেলে। গত এক মাস আগে নিজ গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন সুবর্ণা। দেশে ফিরলেও দিলশান মাদুরাঙ্গার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। গত ৬ নভেম্বর সকালে দিলশান মাদুরাঙ্গা ওরফে দিলশান ইসলাম পটুয়াখালী আসেন। সেখানে সুবর্ণা তাকে রসিব করে। সেখানে উভয়ের সম্মতিতে ৭ নভেম্বর পটুয়াখালী নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ হয়। পরে একই দিনে সুবর্ণার গ্রামের বাড়ি বাশবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য বাঁশবাড়িয়া ইসলামি শরিয়াহ মতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়।

শ্রীলঙ্কান পাত্র দিলশান মাদুরাঙ্গা ওরফে দিলশান ইসলাম বলেন, আমরা দুইজন একই গার্মেন্টসে কাজ করতাম। সেখানেই আমাদের পরিচয় হয়। গত পাঁচ বছরের সম্পর্ক, আমাদের পরিবার আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানেন এবং তাদের সম্মতিতে বিবাহ করেছি।

এদিকে সুবর্ণার বাবা নিজাম উদ্দিন সিকদার বলেন, আমার মেয়ের সুখেই আমার সুখ। এখানে আমার কিছুই বলার নাই। তবে দোয়া করি ওরা যাতে ভালো থাকে। এ বিষয়ে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আলীম বলেন, আমরা শুনেছি শ্রীলঙ্কার এক নাগরিক প্রেমজনিত কারণে দশমিনায় এসেছেন। কিন্তু তার নাম-ঠিকানা কিছুই জানি না।

সূত্র: dailycomillanews

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button