বাংলাদেশ

চিন্ময়কে অনেক আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে, দায় নেবে না ইসকন

চিন্ময়কে অনেক আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে, দায় নেবে না ইসকন

সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে অনেক মাস আগেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ইসকনের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী।

তিনি বলেন, চিন্ময় দাসের কোনো বক্তব্য বা কার্যক্রমের জন্য ইসকন কোনোভাবেই দায়বদ্ধ না। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী।

চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের মৃত্যু ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসকন বাংলাদেশকে অন্যায়ভাবে দায়ী করার অপচেষ্টা চলছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা এবং চলমান আন্দোলনের সঙ্গে ইসকন বাংলাদেশের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। এই মিথ্যাচার এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সড়ক দুর্ঘটনার মতো বিষয়গুলোকেও ইসকনের চক্রান্ত বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

ইসকনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এবং সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি পরিষ্কার করেছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, কিছু বিশেষ মহল ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ইস্কনকে নিষিদ্ধ করার মতো অযৌক্তিক দাবি তুলছে।’

‘আমরা সবাইকে পুনরায় অবহিত করতে চাই যে, অনেক মাস আগেই প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস, সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস এবং চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিনায় কৃষ্ণ দাসকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইসকনের সাংগঠনিক পদ/পদবীসহ ইসকনের যাবতীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং উল্লেখ করা হয় যে, তাদের দ্বারা সংঘটিত কার্যক্রম ইসকনের কার্যক্রম নয়।’

চারু চন্দ্র বলেন, ‘গত ৩ অক্টোবর অফিসিয়াল বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয় যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (চন্দন কুমার ধর) ইস্কন বাংলাদেশের মুখপাত্র নন। তাই তাঁর বক্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। অতএব, লীলারাজ গৌর দাস, স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বক্তব্য এবং কৃতকর্মের জন্য ইসকন বাংলাদেশ কোনোভাবেই দায়বদ্ধ নয়।’

সূত্র: dailycomillanews

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button