ভারত

হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল, বিপাকে ভারত

ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে ভারত যাওয়ার পর বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা হারান টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা হাসিনা।

এরপর তিনি সামরিক হেলিকপ্টারে করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দিল্লিতে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ফ্রান্স ২৪। এতে বলা হয়, কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক একরকম অচলাবস্থার মধ্যে পড়েছেন।

কেননা বৃহস্পতিবার মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তে ঢাকায় পৌঁছেছে জাতিসংঘের একটি দল। তারা জুলাই আন্দোলনে যেসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা খতিয়ে দেখবে। হাসিনা সরকার উৎখাতে সাড়ে চার শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বেশির ভাগ মানুষই পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এক বিবৃতিতে বলেছেন, হাসিনার সাথে সাথে তার মন্ত্রীদেরও কূটনৈতিক পাসপোর্ট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এতে ভারত কূটনৈতিকভাবে চাপে পড়েছে বলেও উল্লেখ করেছে গণমাধ্যমটি।

শেখ হাসিনা গত ৫ই আগস্ট দেশ ত্যাগ করে প্রথমে দিল্লির কাছে একটি বিমান ঘাঁটিতে নামেন। পরে সেখান থেকে তাকে কড়া নিরাপত্তায় দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি দিল্লির কোথায় আছেন এ বিষয়টি এখনও কেউ নিশ্চিত করেনি।

হাসিনা ভারতে যাওয়ার পরই যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন কিন্তু তার সে আবেদন মঞ্জুর করেনি ব্রিটেন সরকার। তাদের দেশ এবং জাতিসংঘের অভিবাসন নীতি অনুযায়ী হাসিনাকে তারা আশ্রয় দিতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রও হাসিনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। কার্যত হাসিনা এখন অন্য কোথাও যাবেন নাকি ভারতেই রয়ে যাবেন সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। আন্তর্জাতিক আদালতে হাসিনার বিচার শুরু হলে ভারতও বা তাকে নিয়ে কী করবে সে বিষয়টিও প্রায় অন্ধকারেই আচ্ছন্ন হয়ে আছে।

যদিও দিল্লি বরাবরই হাসিনার আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত বন্ধু। তারপর এখনও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছেনা হাসিনাকে নিয়ে ভারতের পরিকল্পনা কী? দেশ ত্যাগের আগে জাতির উদ্দেশে একটি ভাষণ দিতে চেয়েছিলেন হাসিনা।

কিন্তু তাকে সে সময় দিতে পারেনি সেনা কর্মকর্তারা। কেননা সেদিন জনতার যে ঢল ঢাকায় প্রবেশ করেছিল আর কিছু সময় হাসিনা দেশে অবস্থান করলে তার প্রাণনাশের ঝুঁকি তৈরি হত। জীবনের নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে হাসিনাকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে ভারত পৌঁছে দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button