ডেস্ক রিপোর্ট: মালয়েশিয়ায় পাচারের শিকার শিশুসহ ১৩৭ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩১ আগষ্ট) সিনার হারিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির রয়্যাল মালয়েশিয়ান পুলিশ (পিডিআরএম) পরিচালিত মানব পাচারের অপরাধের বিরুদ্ধে অপারেশন পিন্টাস মেগা শ্রম শোষণের শিকার শিশু সহ ১৩৭ বিদেশিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
বুকিত আমান ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (জেএসজে) ডি ৩ অ্যান্টি-ট্রাফিকিং ইন পার্সনস অ্যান্ড মাইগ্র্যান্ট স্মাগলিং ডিভিশন (এটিপসম) দ্বারা পরিচালিত অভিযানে ৩৯৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রধান সহকারী পরিচালক ডি ৩ বুকিত আমান, সিনিয়র সহকারী কমিশনার সোফিয়ান স্যান্টং ৩১ আগস্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এ বছরের সামগ্রিক পাচারবিরোধী অপরাধ অভিযান দুটি ধাপে সারাদেশে পরিচালিত হয়েছিল। তার মতে, জানুয়ারিতে প্রথম দফায় সফলভাবে ৪২টি অভিযান চালানো হয় এবং দেশি-বিদেশি নাগরিক জড়িত ২৮৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় মোট ৬৪ জনকে। যাদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ২২ জন মহিলা রয়েছে এবং ১০ ছেলে ও ২০ মেয়ে রয়েছে।
সোফিয়ান আরো বলেন, গত জুনে দ্বিতীয় ধাপে ৩৩ টি অভিযান রেকর্ড করা হয়েছে এবং ১১৩ জন দেশী এবং বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে এবং ৭৩ জনকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে ২৫ জন পুরুষ, ২৬ জন নারী ও ২২ জন কিশোর রয়েছে।
উদ্ধার করা সকল জাতীয়তার অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করে সোফিয়ান বলেন, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মায়ানমারের নাগরিক যারা ৩৫ জন, তারপরে থাইল্যান্ড ২৫ জন এবং ইন্দোনেশিয়া ২৩ জন। বাকিদের মধ্যে বাংলাদেশের ১৭ জন, ফিলিপাইন ৯, মালয়েশিয়া ৮, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও চীন প্রত্যেকে ৫ জন, রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠী ৩ এবং দুজন নেপালি রয়েছে।
সোফিয়ান ব্যাখ্যা করেন, মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ (জেআইএম), শ্রম বিভাগ (জেটিকে), পরিবেশ বিভাগ (জেএএস), তেনাগা ন্যাশনাল বেরহাদ (টিএনবি) এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কারখানার প্রাঙ্গণ, খামার, মৎস্য, পরিষেবা খাতকে লক্ষ্য করে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সোফিয়ান জোর দিয়ে বলেন, পিডিআরএম মানব পাচারের অপরাধের সাথে আপস করে না এবং নিরাপত্তা অপরাধ আইন (বিশেষ ব্যবস্থা) ২০১২ (এসওএসএমএ) সহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।
Source: প্রবাস বার্তা