প্রবাসমালয়েশিয়া

মানবপাচার মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও বায়রা’র দুই পক্ষের শীর্ষ নেতারা আসামী

ডেস্ক রিপোর্ট:
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে অনিয়মের মাধ্যমে ক‍‍র্মী পাঠানোর অভিযোগে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক ক‍‍র্মসংস্থানের সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদসহ এক মামলায় আসামী হয়েছেন বায়রা’র বিবদমান দুই গ্রুপের দুই শী‍‍র্ষ নেতা। বায়রা’র সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র ব্যবসায়ী মো. নূর আলী ও সাবেক মহাসচিব মো. রুহুল আমিন স্বপনসহ মামলাটিতে আসামীর তালিকায় রয়েছে ১০৩ জনের।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেটের অন্য ব্যবসায়ীরাও মামলার আসামী। আসামী করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের তখনকার সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনকেও। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে। ২০১২ সালের মানবপচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন আফিয়া ওভারসীজ নামের রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক আলতাব খান।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন -সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের স্ত্রী কাশ্মীরি কামাল ও মেয়ে নাফিসা কামালসহ ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেটের অন্য ব্যবসায়ীরাও।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ”বিবাদীগণ একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্র। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার প্রবাসী ক‍‍র্মীদের বাংলাদেশ হতে বিদেশে চাকুরীর উদ্দেশ্যে গমনের জন্য সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট মাফিয়া চক্র গড়ে তোলেন এবং হাজার হাজার ক‍‍র্মীর নিকট হতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ দেশ ও বিদেশে গড়ে তোলেন।”

এজাহারে আরো বলা হয়, ‘‘জনশক্তি রপ্তানিতে দুই হাজারের অধিক রিক্রুটিং এজেন্ট থাকা সত্ত্বেও মামলার আসামিরা ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে জঘন্য অপরাধ করেছেন। এমতাবস্থায় দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি যে আমার মতো আরও অনেক অসহায় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোট ২৪ হাজার কোটি টাকা মালয়েশিয়ার ম্যানপাওয়ার সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে পাচার হয়েছে।”

মামলার বাদী আরও উল্লেখ করেন, ‘‘পরস্পর যোগসাজশে তারা আমার সরলতার সুযোগে ভয়ভীতি ও বলপ্রয়োগ করে মানবপাচারের উদ্দেশ্যে আমার নিকট হতে জোরপূর্বক অতিরিক্ত চাঁদাস্বরূপ দেড় লাখ টাকা হারে ৮৪১ জনের নিকট হতে ১২ কোটি ৫৬ লাখ এক হাজার টাকা আদায় করেছে। এ ছাড়া তারা সংঘবদ্ধভাবে অন্যান্য ব্যবসায়ীর নিকট হতে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেছে।”

এস আই নাজমুল হাসানকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

Source: প্রবাস বার্তা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button