প্রবাসমালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় মানব পাচার: অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্ত দুই ব্যবসায়ী

ডেস্ক রিপোর্ট:
মালয়েশিযায় মানব পাচারে জড়িত দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারে মালয়েশিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। গত ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ পুলিশের ইন্টারপোল শাখা থেকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়।

এতে দুজন অভিযুক্তের একজন মালয়েশিয়ান নাগরিক দাতুক সেরি আমিনুল ইসলাম। অপরজন ঢাকার জনশক্তি ব্যবসায়ী ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল স্বত্বাধিকারী রুহুল আমিন স্বপন।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনেও এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করা আমিনুলের মালয়েশিয়ান পাসপোর্ট তথা নাগরিকত্ব রয়েছে। মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কারিগরি পদ্ধতি সরবরাহ করে তার প্রতিষ্ঠান বেস্টিনেট।

এদিকে তাকে নিয়ে করা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। ৬ নভেম্বর, মালয়েশিয়ার জাতীয় পত্রিকা মালয়মেইল এক প্রতিবেদনে লিখেছে আমিনুলের আইনজীবী দাতুক এন. শিভানান্থন বলেছেন “সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে যে দাতো’ শ্রী আমিন বা বেস্টিনেট অবৈধ অনুশীলনে জড়িত, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

বুধবার, শিবনান্থন এক বিবৃতিতে ব্যাখ্যা করেছেন আমিনুল বেস্টিনেটের একজন শেয়ারহোল্ডার এবং তিনি মালয়েশিয়ার একটি প্রযুক্তি কোম্পানি তার ফরেন ওয়ার্কার সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফডব্লিউসিএমএস) সরকারি অনুমোদনের অধীনে পরিচালনা করে।

“বেস্টিনেটের ভূমিকা কঠোরভাবে এফডব্লিউসিএমএস-এর বাস্তবায়ন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যখন সমস্ত নিয়োগের সিদ্ধান্তগুলি শুধুমাত্র মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিক সরকারি কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত থাকে বলে শিবনান্থন দাবি করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেছেন, প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানে গত জুন মাসে মালয়েশিয়া সরকার বেস্টিনেটের চুক্তি আরও তিন বছরের জন্য বাড়িয়েছে।
অপর অভিযুক্ত রুহুল আমিন স্বপনের মন্তব্য জানতে তাঁর প্রতিষ্ঠান ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে ব্লুমবার্গ। ঢাকাভিত্তিক এই রিক্রুটিং এজেন্সির স্বত্বাধিকারী হচ্ছেন রুহুল আমিন স্বপন।

ক্যাথারসিসের একজন প্রতিনিধি ইমেইলে ব্লুমবার্গকে জানান, রুহুল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, তিনি সবসময় ‘আইন মেনে, বৈধভাবে ও নৈতিকতার সাথে’ ব্যবসা পরিচালনা করেছেন।

এদিকে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশ পুলিশের পরিদর্শক আশিকুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত দুই ব্যবসায়ীকে সর্বশেষ কুয়ালালামপুরে দেখা গেছে। মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন এবং বাংলাদেশ পুলিশকে তাঁদের প্রত্যর্পণের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধপত্র জমা দিতে বলেছেন। বর্তমানে এসব নথি প্রস্তুত করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Source: প্রবাস বার্তা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button