আরব আমিরাতপ্রবাসসৌদি আরব

উপদেষ্টার অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনের ‘বিপ্লবী প্রবাসীদের বিক্ষোভ যে কারণে

ডেস্ক রিপোর্ট:
জুলাই আন্দোলনে বাংলাদেশের ছাত্র জনতাকে সমর্থন দিয়ে বিদেশে বিক্ষোভকারী ‘বিপ্লবী প্রবাসী’দের অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তুমুল হট্টগোল হয়েছে। দুবাই কনস্যুলেটের তখনকার কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেনের কারণে বেশিরভাগ প্রবাসী গ্রেফতার ও সাজা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন বিপ্লবী প্রবাসীরা।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে উপদেষ্টা ডঃ আসিফ নজরুলের উপস্থিতিতে এই হট্টগোল করেন বিদেশে জেল খেটে দেশে ফেরা বিপ্লবী প্রবাসীরা। বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই কনস্যুলেটের তখনকার কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এই হট্টগোল বাধে। বিএম জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রবাসীদের অভিযোগ, জুলাই আন্দোলনে কনসাল জেনারেলের দায়িত্বে থাকার সময় বিক্ষোভকরী প্রবাসীদের বিরুদ্ধে আমিরাত সরকারের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন বিএমজালাল হোসেন। বিপ্লবী প্রবাসীদের বিক্ষোভকে আমিরাত সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বলে উল্লেখ করেছিলেন দুবাই কনসুলেটের তখনকার কনসাল জেনারেল জামাল হোসেনে। এজন্য তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করার দাবি জানান ‘বিপ্লবী প্রবাসীরা’।

জুলাই মাসে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের সমর্থন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করেছিলেন তারা। যাবজ্জীবন সাজাও হয়েছিল। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ অনুরোধে আমিরাত সরকার এই প্রবাসীদের মুক্তি দিলেও, এক কাপড়ে ফিরে আসতে হয়েছে দেশে। আর সাজা ও গ্রেফতারের পিছনে বি এম জামাল হোসেনের ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ প্রবাসীদের।

এই অনুষ্ঠানে শুধু সংযুক্তআরব আমিরাতের ১৮৬ জনকে ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক দেয়া হয়। কিন্তু এখনো অনেকেই আছে আমিরাতের কারাগাবে। আবার সৌদি আরবসহ অন্যদেশের প্রবাসীদের এই তালিকায় অন্তভুক্তিতেও মন্ত্রণালয়ের ঢিলেঢালা ভাব দেখে ক্ষোভ জানান প্রবাসীরা। প্রবাসীরা জানান, তাদের অনেকেই বিদেশে বড় বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু কালো তালিকাভুক্ত করে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত বিপ্লবী প্রবাসীরা।

Source: প্রবাস বার্তা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button