ইউরোপপ্রবাস

রোমানিয়া থেকে ৯ মাসে ২৬৮ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত

ডেস্ক রিপোর্ট:
চলতি বছর ২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসে মোট ৯১৬ জন বিদেশি নাগরিককে নিজ দেশে জোরপূর্বক ফেরত পাঠিয়েছে রোমানিয়া। এই অভিবাসীদের মধ্যে ২৬৮ জন বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন দপ্তর। এক ইমেইলে ইনফোমাইগ্রেন্টসকে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই)-এর জনসংযোগ বিভাগ।

আইজিআই জানায়, চলতি বছরের গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯১৬ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের বেশিরভাগই অনিয়মিত উপায়ে রোমানিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে শেনজেন জোনে প্রবেশের চেষ্টা করে রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন। তাছাড়া অনিয়মিত উপায়ে দেশটিতে অবস্থান ও কাজে নিয়োজিতদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযান থেকেও অনেককে আটক করা হয়েছিল।

অভিবাসীদের মধ্যে একটি অংশকে স্বেচ্ছায় ১৫ দিনের মধ্যে দেশ ত্যাগের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এই আইনি নোটিশ না মানায় সংশ্লিষ্টদের জোরপূর্বক তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে বুখারেস্ট কর্তৃপক্ষ।

শীর্ষে দক্ষিণ এশিয়া
রোমানিয়া থেকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোদের মধ্যে শীর্ষে আছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। যাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৬৮ জন বাংলাদেশের, শ্রীলঙ্কার ১০৫ জন, নেপালের ১৪৮ জন, পাকিস্তানের ৮৯ জন এবং ভারতের ৪৮ জন।

এছাড়া মিশরের ২৯ জন, মলদোভার ২৫ জন, তুরস্কের ২২ জন, ভিয়েতনামের ২২ জন, মরক্কোর ২০ জন এবং বাকিরা অন্যান্য দেশের নাগরিক বলে জানিয়েছে জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই)৷

যেসব অভিবাসীদের কাছে আটকের সময় কোনো পাসপোর্ট বা নথি পাওয়া যায় না তাদের ক্ষেত্রে স্বীকৃত রাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশন বা কনস্যুলার অফিসের সহায়তায় বিশেষ অনুমতি পত্র নিয়ে রোমানিয়া থেকে ফেরত পাঠানো হয়। অনিয়মিত অভিবাসীদের অনেকেই শেনজেন সীমান্তে প্রবেশের সময় তাদের সাথে থাকা সব নথিপত্র ফেলে দেন।

রোমানিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করা ও দেশটিতে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের যাবতীয় আইনি কাঠামো একটি বিশেষ অধ্যাদেশ বা ওইউজির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই অধ্যাদেশের ১৯৪/২০০২ ধারার সংশোধিত বিধান অনুযায়ী বিদেশিদের প্রবেশ, থাকার অধিকার এবং বাধ্যবাধকতাগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়।

চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে ইউরোপের অবাধ চলাচলের শেনজেন জোনে আংশিক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে রোমানিয়া। যার ফলে শেনজেন প্রবিধান মেনে চলতে আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় অনিয়মিত অভিবাসনবিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

Source: প্রবাস বার্তা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button