
ডেস্ক রিপোর্ট: গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, নির্বাচন আসলে আমরা প্রত্যাশা করছি ডিসেম্বরে হবে। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমি এখন সন্দিহান, আদৌ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হয় কিনা? কারণ তার কতোগুলো লক্ষণ থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, রাজনৈতিক ঐকমত্য। কিন্তু এখন আমরা বিভাজন দেখতে পাচ্ছি।
নুর মনে করেন এসব কারণেই নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ ভাবে দেশ চললে নির্বাচন কবে হয় জানি না। ভোট নিয়ে কি হয় আমরা জানি না।
রবিবার (৯ মার্চ )কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ মালয়েশিয়া শাখা আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসীদের ভূমিকা ও আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা এবং ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথিগণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল ইসলাম নুর এই কথা বলেন।
ভিপি নূর বলেন, পরবর্তী নির্বাচনে যদি সংসদীয় আসন ৪০০ করা হয় সেখানে প্রবাসীদের ১০ শতাংশ আসন থাকা উচিত। দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদানের কথা মাথায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে নুরুল ইসলাম নুর বলেন, গত ছয় মাসে দৃশ্যমান কোনো ভালো কাজ করে দেখাতে পারেনি বর্তমান সরকার। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, বিমান টিকিট, পাসপোর্ট নবায়ন থেকে শুরু করে বিভিন্নস্থানে বিগত সরকারের আমলে গড়ে ওঠা যে সিন্ডিকেট রয়েছে তা ভেঙ্গে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতো সরকার কিন্তু তা করেনি।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ধারাবাহিক ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সরকার অতি দুর্বল সরকার। বিদেশি কূটনীতিকদের প্রেসক্রিপশনে গঠিত এ সরকার কীসের ভিত্তিতে গড়ে তোলা হয়েছে তা বোধগম্য নয় বলেও মন্তব্য করেন ডাকসুর সাবেক এই নেতা।
Source: প্রবাস বার্তা