গাজা সংঘাতের অবসান নিয়ে নতুন শর্তে অনড় অবস্থানে হামাস
হামাস শুক্রবার জানিয়েছে, তারা গাজার যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার নতুন শর্তগুলোকে প্রত্যাখ্যান করছে। কাতারে দুই দিনের আলোচনা শেষে যুক্তরাষ্ট্র আলোচকদের কাছে এগুলো উপস্থাপন করে।
১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান গাজা সংঘাতে যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি বলেছেন, আমরা এখন আগের চেয়ে যুদ্ধবিরতির অনেক কাছাকাছি আছি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই সপ্তাহান্তে ইসরায়েল সফর করবেন যুদ্ধবিরতির সর্বশেষ প্রস্তাবটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য।তারা আরও জানিয়েছে, ব্লিঙ্কেন এই অঞ্চলের সকল পক্ষকে যেকোনো রকম উত্তেজনা বা এমন কাজ থেকে বিরত থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিচ্ছে। বিশেষ করে হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াকে ইরানে হামলায় হত্যা করার পর। ইরান ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছে। হানিয়াকে হত্যা কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে আরো বড় যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মার্কিন, মিসরীয় এবং কাতারি মধ্যস্থতাকারীরা মে মাসে বাইডেনের প্রস্তাবিত একটি কাঠামোর বিস্তারিত নির্ধারণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এটা ইসরায়েল প্রস্তাব করেছিল বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। তবে কয়েক মাসের আলোচনায় এখনও যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তির চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিবরণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছেন, দোহায় দুই দিনের আলোচনা ‘গুরুত্বপূর্ণ এবং গঠনমূলক’ ছিল। তাদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘সমঝোতা প্রস্তাব’ উপস্থাপন করেছে যা আগামী সপ্তাহে কায়রোতে নতুন একটি আলোচনার রাউন্ডে দ্রুত চুক্তি সুরক্ষিত করার চেষ্টা করছে।
এদিকে, হামাস দ্রুত তাদের আপত্তি জানিয়ে বলেছে, তারা ইসরায়েলের সাম্প্রতিক পরিকল্পনার নতুন শর্তগুলো মেনে নিতে পারবে না। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি ‘২৭ মে’র নীতিগুলো মেনে নিতে’ হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন, যা বাইডেনের কাঠামোর একটি অংশ।
তবে, পশ্চিমা মিত্র জর্ডান নেতানিয়াহুকে দোষারোপ করে বলেছে , তিনি চুক্তি বাধাগ্রস্ত করছেন। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইমান সাফাদি সকল পক্ষকে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।